মুমিনুল-মোস্তাফিজের পরিবর্তে শরিফুল-এনামুল
হারতে হারতে অতল সাগরে নিমজ্জিত বাংলাদেশ দল। ভেসে উঠার জন্য চেষ্টার কমতি নেই। অ্যান্টিগা টেস্টে খেলতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের টেস্টে খেলা সেরা একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে। কিন্তু তারপরও হার ঠেকানো সম্ভব হয়নি। দলে আটজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান নিয়েও বাংলাদেশ দল ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। দুই ইনিংসে করেছিল ১০৩ ও ২৪৫ রান। এবার সেন্ট লুসিয়া টেস্টেও এনেছে একাধিক পরিবর্তন। অংকের হিসেবে দুই জন। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের পরিবর্তে খেলার সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক টাান ৯ ইনিংসে দুই অংকের রান করতে পারেননি। এমনকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের পর রানে ফিরতে তিনি অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। তারপরও অ্যান্টিগা টেস্টের দুই ইনিংসে তিনি শূণ্য ও ৪ রান করেছিলেন। আবার তাকে সেরা একাদশেই জায়গা হারাতে হলো। এনামুল হক বিজয় টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন আট বছর পর। এর আগে তিনি চার টেস্টের আট ইনিংস খেলে রান করেছিলেন মাত্র ৭৩। গড় মাত্র ৯.১২। তবে এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক হাজার রান করার পরই জাতীয় দলে তাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ফলে তিনি ডাক পান ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে। কিন্তু ইয়াসির আলী রাব্বির ইনজুরিতে তাকে টেস্ট দলে নেয়া হয়। এবার সুযোগ পেলেন সেরা একাদশে। যদি তার হাত ধরে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ভাগ্য বদলায়!
বাংলাদেশ দলের অপর পরিবর্তন হলো পেসার মোস্তাফিজকে বিশ্রামে দেয়া। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সব সময়ই মোস্তাফিজের অরুচি ছিল। এবার তিনি উইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলে আছেন নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে। অ্যান্টিগা টেস্ট খেললেও সেখানে তিনি খুব ভালো কিছু করতে পারেননি। মাত্র এক উইকেট নিতে পেরেছিলেন। তবে তার বলে রান নিতে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের বেশ সমস্যা হয়েছিল। তাই তাকে এই টেস্টে বিশ্রামে দিয়ে তলে নেয়া হয়েছে শরিফুল ইসলামকে । শরিফুল চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ব্যাটিং করতে গিয়ে আহত হয়ে ছিটকে পড়েছিলেন। এই টেস্ট দিয়ে তিনি আবার খেলায় ফিরলেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন।
এমপি/এএজেড