দুই গোলের জয়ে শুরু বসুন্ধরা কিংসের
বিশ্বকাপ ফুটবলের ডামাঢোল বাজতে শুরু করেছে। আর বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই হয় ব্রাজিল, না হয় আর্জেন্টিনা-এই দুই দেশকে ঘিরেই জমে উঠে বিশ্বকাপের আসর। এই দুই দেশের এক দেশ ব্রাজিলের দুই ফুটবলারের গোলে ৩৮ দিন পর আবার শুরু হওয়া প্রিমিয়ার বিভাগ ফুটবল লিগে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে শিরোপার ঘ্রান পেতে থাকা বসুন্ধরা কিংস। দুই গোলদাতা ব্রাজিলে তেমন একটা পরিচিত না হলেও বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে বেশ পরিচিত রবসন। অপরজন হলের মিগুয়েল ফেরেইরা দামাশেনো। এই জয়ে ১৬ম্যাচে ৪১ পযেন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বসুন্ধরা।
এএফসি কাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই আসরের জন্য ৩৮ দিন খেলা বন্ধ ছিল। আজ থেকে আবার শুরু হয়েছে লিগ। মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্টে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা দুইটি গোলই করে প্রথমার্ধে। দুইটি গোলই হয়েছে তিন মিনিটের ব্যবধানে খেলার ৩৫ থেকে ৩৮ মিনিটে।
রহমতগঞ্জ ২-০ গোলে হারলেও এই ব্যবধানে আরো বড় হতে পারতো। কারণ ৩৪ মিনিটে রহমতগঞ্চের গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান সরাসরি লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এর পরপরই রহমতগঞ্জ দুই গোল হজম করে। গোল হজম করার আগ পর্যন্ত অবশ্য রহমতগঞ্জ ভালোই খেলছিল। কিন্তু এভাবে দুই গোল হজম করার পর গোল আর হজম না করার জন্য পরবর্তিতে তারা রক্ষণাত্বক পদ্ধতি গ্রহণ করে। এখানে তারা সফলও হয়। হজম করেনি কোনো গোলও। লিগের প্রথম পর্বে বসুন্ধরা জিতলেও ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছিল রহমতগঞ্জ। বসুন্ধরা জয়ী হয়েছিল ৩-২ গোলে।
রহমতগঞ্জের বিপদে নেমে আসে ৩৪ মিনিটে। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া নুহা মারোং রহমতগঞ্জের রক্ষনে ডুকে পড়ছিলেন। বিপদ আঁচ করতে পেরে গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান নিজের বক্সে ছেড়ে বের হয়ে এসে হ্যান্ডবল করে বসেন। এতে রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই তাকে লালকার্ড দেখান। অবস্থা সামাল দিতে রক্ষণে থাকা ওয়ালি ফয়সালকে তুলে নিয়ে রাকিবুল ইসলাম তুষারকে গোলপোস্ট আগলাতে মাঠে নামান। কিন্তু তুষার নেমেই গোল হজম করেন দুইটি। যদিও তিনি পরে আবার গোলও বাঁচিয়েছেন।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর রহমতগঞ্জ সামলে উঠার আগেই পরপর দুই গোল হজম করে। ৩৫ মিনিটে সেট পিচ থেকে মিগুয়েল ফেরেইরা দামোশেনো বাঁ পায়ের বাকানো শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। গোল বাঁচানোর জন্য তুষার ঝাপিয়ে পড়ে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৩৮মিনিটে ব্যবধানে দ্বিগুন করেন রবিনহো রবসন। রিমনের কর্নার থেকে দামাশেনো হেড করতে গিয়ে ছেড়ে দিলে সেই বল পেয়ে যান রবসন। ডান পায়ের নিচু শটে তিনি বল জালে জড়ান। লিগে এটি তার ছিল দ্বাদশ গোল।
১০ জনের দল নিয়েই রহমতগঞ্জ প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল। মাহমুদুল হাসানের ফ্রি থেকে সানডে চিজোবার হেড জালে ডুকার আগ মুহূর্তে কোনো রকম ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন আনিসুর রহমান জিকো।
দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরা কিংস গোল বাড়ানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি রহমতগঞ্জের জমাট রক্ষনের কারণে। তারপরও ৭৬ মিনিটে মিগুয়েল ফেরেইরা দামাশেনোর ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। কিন্তু সেই বল পরে পেয়ে যান অনেকটা সুবিধামতো অবস্থানে থাকা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কিন্তু তিনি কাজে লাগাতে পারেননি।
দশজন নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ জমাট রাখার দিকে আরও বেশি মনোযোগী হয় রহমতগঞ্জ। এর মধ্যেই সুযোগ পায় কিংস। ৭৬তম মিনিটে দামাশেনোর ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে গোললাইনের একটু বাইরে পড়ে। ভালো অবস্থায় থাকা মোহাম্মদ ইব্রাহিমও পারেননি ফিরতি সুযোগ কাজে লাগাতে।
এমপি/