মেয়েদের প্রিমিয়ার ক্রিকেটে সবার উপরে পিংকির রান
অনেকটা অগোচরেই শেষ হয়ে গেল মেয়েদের প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগ। একদিকে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ছেলেদের দলের নাকানি-চুবানি, অন্যদিক ভরা বর্ষা-এই দুই মিলে এবারের মেয়েদের প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগ নজর কাড়তে পারেনি ক্রীড়ামোদীদের।
তাই বলে মাঠের লড়াইয়ে কিন্তু তার ঘাটতি ছিল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। তবে তাদের এই শিরোপা জেতার মাঝেই রয়ে গেছে প্রকৃতির বিরূপ আচরণ। মোহামেডান ও রানার্সআপ রূপালি ব্যাংকের পয়েন্ট সমান ছিল ১১ ম্যাচে ১৯। কিন্তু নেট রান রেটে মোহামেডান এগিয়ে থাকায় শিরোপা জেতে। মোহামেডান এই শিরোপা জিতেছে শেষ ম্যাচ না খেলেই। একইভাবে রূপালি ব্যাংকও রানার্সআপ হয়েছে।
দুই দলই নিজ নিজ শেষ ম্যাচ খেলতে পারেনি। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। অথচ শিরোপা জেতার প্রশ্নে দুই দলের ম্যাচটিই ছিল খুবই জরুরি। দুই দলই সমান পয়েন্ট নিয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে ছিল ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। দুই দলই জয়ী হলে তখন রান নেট রান রেট ওলট-পালটও হতে পারতো। তা না হলেও দুই দলেরই ম্যাচেই থাকতো টানটান উত্তেজনা।
এবারের আসরে ব্যাট হাতে সবার উপরে আছেন রানার্সআপ রূপালি ব্যাংকের ফারজানা হক পিংকি। তিনি ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংস খেলে রান করেছেন ৪৯০। একটি সেঞ্চুরি আর পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল তার ব্যাটে। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ১২৪ রানের। এটি ছিল লিগের তৃতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল খেলাঘরের রিতুর মনির ১৩৬। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল রানার্সআপ মোহামেডানের রুমানা আহমেদের অপরাজিত ১২৮।
আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন কেরানিগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির গজালা নাজ। তিনি ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংস খেলে রান করেন ৩৬৫। সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ১২৩। তিন অংকের এই একটি ইনিংস ছাড়া তার হাফ সেঞ্চুরি ছিল তিনটি। এরপর তৃতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল আসরে চতুর্থ হওয়া আবাহনী লিমিটেডের শারমিন সুলতানার। তিনি ১১ ম্যাচের ১০ ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তিনি রান করেন ৩২৮। সেঞ্চুরি ছিল দুইটি ১০৯ ও ১০১ রানের।
কোনো হাফ সেঞ্চুরি ছিল না। খেলাঘরের রিতু মনি একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করে ১০ ম্যাচে ৮ ইনিংস ব্যাট ৩১৩ রানে করে তিনি। তালিকায় চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে আছেন। তার ১৩৪ রানের ইনিংসটি এবারের আসরের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এরপরের স্থান শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভালপমেন্ট একাডেমির সোবহানা মোস্তারি। তিনি ১০ ম্যাচের ৭ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছেন ৩০৭। কোনো সেঞ্চুরি তিনি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ৮৪।
হাফ সেঞ্চুরি ছিল দুইটি। শীর্ষ পাঁচে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের কোনো ব্যাটসম্যান না থাকলেও ষষ্ট ও সপ্তম স্থানে আছেন তাদের দুই জন ব্যাটসম্যান শামীমা সুলতানা ও রুমানা আহমেদ। শামীমা ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে রান করেন ২৯৭। তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৯০। হাফ সেঞ্চুরি করেন দুইটি। রুমানা আহমেদ ২৯৪ রান করেন মাত্র ৮ ম্যাচের ৬ ইনিংস খেলে। একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি আছে। সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল অপরাজিত ১২৮ রানের।
এমপি/এমএমএ/