বাংলাদেশ কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি
৯ রানে উইন্ডিজের ৩ উইকেট নেওয়ার পর যে উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা, তৃতীয় দিনের বাকি সময় সে উত্তেজনাকে প্রশমিত করে নিয়ে আসে ওপেনার ক্যাম্পেবেল ও ব্লাকউড। তারপরও ক্ষীণ আশা ছিল যদি চতুর্থ দিনের শুরুতে পটাপট কয়েকটি উইকেট তুলে নেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। বলা যায় অনেকটা বিনা বাধায় আগের দুই দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ক্যাম্পবেল ও ব্লাকউড দলকে সাত উইকেটে জয় এনে দেন। জয়ের জন্য তারা খুব বেশি সময় নেননি। প্রয়োজনীয় ৩৫ রান তারা সংগ্রহ করেন মাত্র সাত ওভারে। জয় সূচক রান আসে নাজমুল হোসেন শান্তর বলে ক্যাম্পবেলের ছক্কায়। ক্যাম্পবেল ৫৮ ও ব্লাকউড ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮১ রান যোগ করেন। দুই টেস্টের সিরিজে উইন্ডিজ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়াস রির্চাডস স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য উইন্ডিজের ৮৪ রানের লক্ষ্য তৃতীয় দিনের শেষ বিকালেই এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। পেসার খালেদের তোপ সামলে ক্যাম্পবেল ও ব্লাকউড সেই ঝড় থামিয়ে দিয়েছিলেন। তখনই এক প্রকার বুঝা গিয়েছিল চতুর্থ দিন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার জন্য হবে খেলা। সেই আনুষ্ঠানিকতাকে এন্টারটেনইমেন্ট নিয়ে যান ওপেনার ক্যাম্পেবেল। ৩৫ রানের ৩০ রানই আসে তার ব্যাট থেকে। যেখানে ছিল পাঁচটি চার আর একটি ছক্কা। জয়সূচক রান আসে তার ব্যাট থেকে ছক্কায়। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১০৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রান করেছিল। উইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৬৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ ওভারে ৩ উইকেটে করে ৮৮ রান।
দিনের প্রথম ওভার বোলিং করতে আসেন আগের দিন ঝড় তুলা পেসার খালেদ। তার প্রথম বলেই ব্লাকউড ২ রান নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আজ আর বাংলাদেশের বোলাররা কোনো কিছু করতে পারবে না। পরে হয়েছেও তাই। এবাদতের করা পরের ওভারে ক্যাম্পবেল দুটি বাউন্ডারিতে ১০ রান তুলে নিয়ে জানিয়ে দেন জয়ের জন্য তারা খুব বেশি সময় নেবেন না। খালেদ ও এবাদতের নিজ নিজ দ্বিতীয় ওভারে রান কম আসলেও খালেদের তৃতীয় ওভারে ক্যাম্পেবল আবারও দুই বাউন্ডারিতে তুলে নেন ৮ রান। ৫ ওভারেই তারা ২৯ রান সংগ্রহ করে ফেলেন। মেহেদি হাসান মিরাজ প্রথম বল হাতে তুলে নিয়ে কোনো রান না দিলেও হার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নাজমুল হোসেন শান্তর হতে বল তুলে দেন সাকিব। তাকে চার মেরে ক্যাম্পবেল ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৭৭ বলে। সেই ওভারের শেষ বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দেন ক্যাম্পবেল। ক্যাম্পবেল আগের দিন ৩৬ বল খেলে করেছিলেন ২৮ রান। আজ ৩১ বল খেলে করেন ৩০ রান।
খালেদ আগের তিন ৫ ওভারে ১৪ রান দিয়েছিলেন। আজ ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ৮ ওভারে ২৭ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট। এবাদত আগের দিন ২ ওভারে দিয়েছিলেন ১৪ রান। আজ ২ ওভারে দেন ১৬ রান। পাননি কোনো উইকেট।
এমপি/এসজি/