ব্যবসায়ীদের খেলাধুলায় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দেশের জন্য খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা করবে তারা শুধু খেলাধুলাই করবে। তাদের জীবনযাপনের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানা আছে, তাদের বলব প্রত্যেকের উচিত আমাদের খেলাধুলার সঙ্গে যারা জড়িত অন্তত তাদের একটা সুযোগ করে দেওয়া। তাদের যদি একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে রাখে, তাহলে খেলাধুলার দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে। জীবন জীবিকার কথা চিন্তা করতে পারে না, করার প্রয়োজন হয় না।
রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে ২০২১ সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় মহিলা দলকে সংবর্ধনা ও অর্থ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার প্রধান একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
খেলোয়ারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমরা মাথা উঁচু করে চলব। আমাদের সব খেলোয়াড়দের এ কথা মনে রাখতে হবে। খেলার মাঠে সব সময় মাথায় চিন্তা রাখতে হবে আমরা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করা জাতি, আমরা বিজয়ী জাতি, হার জিত থাকবে এটা ঠিক। কিন্তু মাথায় এটা রাখতেই হবে আমাকে জিততেই হবে। খেলোয়াড়দের মাথায় স্পোর্টসম্যান স্পিরিট থাকতে হবে।
তিনি বলেন, গ্রামীণ খেলাধুলায় আরও বেশি জোর দেওয়া উচিত। আমার কাছে প্রায়ই দরখাস্ত আসে। আসলে খেলাধুলার পর একটা পর্যায়ে তো তাদের কিছু করার থাকে না। আমি মনে করি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চায় যদি আমরা ভালোভাবে সহযোগিতা না করি তাহলে উৎকর্ষতা আসবে না। সহযোগিতা সরকারি পক্ষ থেকে করতে পারি, বেসরকারি খাত থেকে করতে পারে। যত আমরা সহযোগিতা করব খেলাধুলার উৎকর্ষতা তত বাড়বে। ঘর সংসারের চিন্তা করব না কি, খেলায় মন দেব বা আমি সংস্কৃতিতে মন দেব- এ দোটানায় যেন না পড়ে। যারা খেলবে দেশের জন্য সন্মান বয়ে আনবে তাদের জীবন জীবিকার সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে। আমি এটায় বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ দেওয়াই উচিত। পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও এধরনের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি বিশ্বাস করি। তাদের আর কোনো কাজ নেই তারা শুধু খেলাধুলাই করবে। এখন যত বেশি ক্লাব হবে যত বেশি প্রতিযোগিতা হবে, খেলাধুলায় তত বেশি উৎকর্ষতা বাড়বে, এটাই বড় কথা। সেই ধরনের পরিবেশ আমাদের দেশে করতে হবে। খালি ব্যবসা করবেন আর ইন্ডাস্ট্রিজ করবেন আর পয়সা বানাবে সেটা তো হয় না, কিছু দেশের জন্য করতে হবে। ব্যবসায়ীরা যেন উদ্যোগ নেন। আমি যতক্ষণ আছি ততক্ষণ এ সহযোগিতাটা থাকবে। কিন্তু আমি না থাকলেও যেন অসুবিধা না হয় সেজন্য ফাউন্ডেশন করে দিয়েছি। ফাউন্ডেশনে আমি যেটা সিড মানি দিয়েছি কিন্তু আমাদের ব্যবসায়ী মহল আছে যারা আছেন তাদের উচিত এখানে কিছু অনুদান দেওয়া।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে ক্রীড়া কমপ্লেক্স হবে। আমাদের ৮টি বিভাগ, হয়তো ভবিষতে আরও দুইটা বাড়বে। সব বিভাগে ক্রীড়া কমপ্লেক্স করে দেওয়া হবে।
এসএম/এসএন