আবারো বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা
বোলারদের অসম্ভব তৎপরতায় বাংলাদেশ দল উইন্ডিজের লাগাম টেনে ধরেছিল। দিনের শুরুতে বড় ইনিংস গড়ার পূর্বাভাস থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। সাকিব আল হাসান তার পরিকল্পনা মতোই উইন্ডিজকে আড়াইশ রানের ভেতর না পারলেও ২৬৫ রানে অলআউট করে খেলায় ফিরে আসে বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেই সুখ খুব বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেনি। এই না পারার কারণ সেই যথারীতি ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংসের মতো মড়ক লাগেনি। কিন্তু ২০ ওভার খেলেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে। দিন শেষে ভান্ডারে রান জমা হয়েছে ৫০। এখনও পিছিয়ে আছে ১১২ রানে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল। তৃতীয় দিন এই ব্যর্থতার বলয় ছিন্ন করে বের হয়ে আসতে না পারলে ম্যাচ বাঁচানো কঠিন হয়ে যাবে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন কেমার রোচ। এবার আর তিনি পারেননি। চার নম্বারে বল হাতে তুলে নিয়েই ঘাতক হয়ে উঠেন আলজারি জোসেফ। দুই রানের ব্যবধানে প্রথম ওভারে তামিম ও পরের ওভারে মিরাজকে তিনি ফিরিয়ে দেন। এরপর মাহমুদুল ও নাজমুল জুটি বেঁধে আর কোনো উইকেটের পতন হতে দেননি। ৮.২ ওভার খেলে ১৫ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। দুই জনেই ধৈর্য্য ধরে খেলার চেষ্টা করছেন। মাহমুদুল ১৮ রান করতে বল খেলেছেন ৬০টি। বাউন্ডারি ছিল দুইটি। নাজমুল ২৩ বল খেলে এক বাউন্ডারিতে করেছেন ৮ রান।
তামিম ইকবাল (২২):
এবার আর প্রথম ইনিংসের মতো মড়ক লাগেনি। মাহমুদুল হাসান জয়ও শূণ্য মারেননি। কিন্তু প্রথমে আউট হয়ে যান প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করা তামিম ইকবাল। এবার তিনি করেন ২২ রান। উদ্বোধনী হুটিতে রান আসে ৩৫। তামিমকে আউট করেন জোসেফ। তবে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব উইকেট কিপার জসুয়া ডি সিলভার। গুড লেন্থের বল রক্ষণাত্বক খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে চলে যায়। সিলভা বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে দর্শনীয় ক্যাচ ধরেন। এভাবে আউট হওয়াটা তামিম যেন কিছুতেই মেনের নিতে পারছিলেন না। মাথা নাড়তে নাড়তে তিনি মাঠ ছেড়ে যান।
মেহেদি হাসান মিরাজ (২):
দিনের খেলা বেশি সময় বাকি না থাকাতে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজকে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি রাতের প্রহরি হতে পারেননি। পাহারা দিতে পারেননি উইকেট। প্রথম ইনিংসের মতো মাত্র দুই রান করে তিনি প্রথম স্লিপে মায়ার্সরের হাতে ধরা পড়েন জোসেফের বলে। প্রথম ইনিংসে তিনি বল খেলেছিলেন ২২টি, এবার খেলেন অনেক কম ৬টি।
এমপি/এএস