বাংলাদেশের কাঙ্খিত শেসন
উইকেটের সন্ধানে হন্য হয়ে থাকা বাংলাদেশ দল অবশেষে তার সন্ধান পেয়েছে। একটি, দুইটি নয় তিন তিনটি উইকেট বাংলাদেশের বোলাররা নিজেদের পকেটস্থ করে নেন। আর এই তিনটি উইকেটই এসেছে দ্বিতীয় শেসনে। এই শেসনে উইন্ডিজ রান সংগ্রহ করে তিন উইকেটে হারিয়ে ৭২। ওভার খেলে ২৫টি। যেখানে একটি বড় শিকারও ছিল। উইকেটে সুপার গ্লু আঠার মতো আটকে থাকা উইন্ডিজের অধিনায়ক ব্রেথওয়েটেকে ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে দেননি খালেদ। তবে উইকেট বেশি পড়লেও তাদের রান সংগ্রহের গতি আগের চেয়ে বেগবান ছিল বেশি। দ্বিতীয় শেসন শেষে তাদের রান ৬ উইকেটে ২৩১। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ১২৮ রানে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ১০৩ রান।
প্রথম শেসনে বোনারকে আউট করার পর ব্রেথওয়েটের সঙ্গে ব্লাকউড জুটি বেঁধে বাংলাদেশের জন্য আরো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেন। ব্রেথওয়েটতো আগের দিন থেকেই পিচে কিভাবে টিকে থাকতে হয় তার প্রদশর্নী করে আসছিলেন। ব্লাকউডকে পেয়ে দুই জনে মিলে একই পথে হাঁটতে থাকেন। তবে এ সময় তারা রান সংগ্রহের গতি একটু বাড়িয়ে দেন। বাড়িয়ে নিতে থাকেন নিজেদের লিডও। ব্রেথওয়েট এগুতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। দলীয় লিড যখন ৯৪, তখন ব্রেথওয়েটের রানও ৯৪। বল খেলে ফেলেছেন ২৬৮টি। অবশিষ্ঠ ৬ রানের জন্য আর কতো বল খেলবেন কে জানে? কিন্তু না! বাংলাদেশের বোলারদের বারবার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটানো ব্রেতওয়েটকে সেঞ্চুরি করতে দেননি খালেদ। ফাঁদে ফেলেন এলবিডব্লিউর। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দেয়ার পর রিভিউ নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। শেষ হয় তার ৪০০ মিনিট ৯ বাউন্ডারিতে স্থায়ী ২৬৮ বলের ইনিংসের। স্ট্রাইকরেট ছিল মাত্র ৩৫.০৭।
ব্রেথওয়েটকে ফিরিয়ে দেয়ারে পর চাঙ্গা হয়ে উঠেন বাংলাদেশের বোলাররা। পরপর দুই ওভারে মিরাজ একে একে ফিরিয়ে দেন কাইল মায়ার্স ও ডি সিলভাকে। মায়ার্সকে এলবিডব্লিউ ও ডি সিলভাকে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত করেন। এর মাঝে মায়ার্সের উইকেটটি ছিল রিভিউ নিয়ে। প্রথম দিনই দুইটি রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ দল এ দিন প্রথম রিভিউ নিয়ে সাফল্য পায়। আসলে সাফল্য যখন আসে, তখন সব দিক দিয়েই আসতে থাকে। ৩৩ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে আসে। এখন তাদের সামনে বাঁধা হয়ে আছেন ব্লাকউড ৫৩ রানে। তার সঙ্গে ০ রানে অপরাজিত আলজারি জোসেফ। বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ দুইটি এবং মোস্তাফিজ, এবাদত, খালেদ ও সাকিব একটি করে উইকেট নেন।
এমপি/এএজেড