উইন্ডিজের সতর্ক শুরু
চোখের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা দেখেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের করুণ হাল। তাদের পেসাররা অতিথিদের পিচে দাঁড়াতেই দেননি। ড্রেসিং রুমে আসা-যাওয়ার শব যাত্রায় পরিণত করেন। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানকে দুই অংকের রান করতে দিয়েছেন তারা। ছয়জনকে কোনো রানই করতে দেননি।
১০৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে দেখে স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা সতর্কতা অবলম্বন করে এগুতে থাকেন। কোনো রকমের ঝুঁকি নিতে তারা রাজি হননি। তারা এমনই সতর্ক ছিলেন যে প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো রানই সংগ্রহ করতে পারেননি। তাদের এই সাবধানতার অন্যতম কারণ ছিল কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের ফেরা। যে কারণে মোস্তাফিজের পাঁচ ওভারের প্রথম স্পেলে চারটিই ছিল মেডেন। রান দেন মাত্র একটি।
মোস্তাফিজের সঙ্গে বোলিং সূচনা করতে আসা আরেক পেসার খালেদও কম যাননি। তার পাঁচ ওভারের প্রথম স্পেলে তিনটি ছিল মেডেন। রান দেন তিনটি। এবাদত-সাকিব এসেও ব্যাটসম্যানদের স্বাচ্ছন্দ্য হতে দেননি। এক পর্যায়ে স্বাগতিকদের রান ছিল ১৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১০। প্রথম রান তাদের আসে ষষ্ট ওভারে। বোলার ছিলেন খালেদ। চা বিরতি পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫ ওভারে ১৫। মিরাজ বল হাতে তুলে নেয়ার পর এক ওভারে রান আসে পাঁচ। অধিনায়ক ক্রেইগ বার্থওয়াইট ৯ ও জসন ক্যাম্পবেল ১ রানে অপরাজিত।
এর আগে বাংলাদেশ স্বাগতিক দলের পেসারদের তোপে পড়ে মাত্র ৩২.৫ ওভারে ১০৩ রানে অলআউট হয়। সাকিব করেন্ কোই ৫১। এ ছাড়া তামিম ইকবাল ২৯ ও লিটন দাস ১২ রান করেন। আর কোনো ব্যাটসম্যানর দুই অংকের রান করতে পারেননি। সিলস ও জোসেফ দুই জনেই ৩৩ রান করে দিয়ে তিনটি করে এবং মায়ার্স ১০ ও কেমার রোচ ২১ রানে নেন দুইটি করে উইকেট।
এমপি/এএস