দলীয় সেঞ্চুরির পরই বাংলাদেশ অলআউট!
কেমার রোচ যে ধারা ধরিয়ে দিয়ে ছিলেন, সেই ধারার সঙ্গে পরে তাল মেলান সিলস, মায়ার্স, জোসেফ। ফলে বাংলাদেশ খুব বেশি দূরে যেতে পারেনি। মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ওভার খেলে ৩২.৫টি। লাঞ্চের পর টিকতে পেরেছিল মাত্র ৭.৫ ওভার। রান যোগ করেন ২৭। সাকিব এক প্রান্ত আগলে রেখে ৫১ রান করেন। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ২৮ তম ফিফটি। উইন্ডিজের চার পেসার মিলেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে দেন। সিলস ও জোসেফ দুই জনেই ৩৩ রান করে দিয়ে তিনটি করে উইকেট নেন। মায়ার্স ১০ ও কেমার রোচ ২১ রানে নেন দুইটি করে উইকেট। একাদশে একমাত্র স্পিনার অভিষিক্ত গুদাকেশ মাত্র এক ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
মিরাজ (২):
৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সাকিব-মিরাজে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত দুই জনে মিলে আর কোনো উইকেটই পড়তে দেননি। কিন্তু লাঞ্চের পরপরই সেই প্রতিরোধে ভাঙ্গণ ধরে। প্রথম ওভারেই ফিরে যান মিরাজ। লাঞ্চের পর সিলসের করা প্রথম ওভারের শেষ বল মিরাজ প্রথম মোকাবেলা করেন। আর সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে উইকেটের পেছনে ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে। জুটিতে আসে ৩২ রান। মিরাজ অবশ্য আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি।
মোস্তাফিজ (০):
সিলস তার পরের ওভারে মোস্তাফিজকে কোনো রান করতে দেননি। ইনিংসের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজ শূণ্য রানে সাজ ঘরে ফেরেন। তিনিও উইকেটর পেছনে ক্যাচ দেন। ইনিংসে ডি সিলভার এটি ছিল চতুর্থ ক্যাচ।
সাকিব (৫১):
দলের বিপর্যয়েও নতুন করে নেতৃত্ব পেয়ে সাকিব তার মান রাখেন ৫১ রানের ইনিংস খেলে। সিলসকে বাউন্ডারি মেরে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি তুলে নেন ৬৫ বলে। সেই সঙ্গে দলেরও শতরান পার হয়। কিন্তু ফিফটি করার পর পরই তিনি আউট হয়ে যান জোসেফের বলে বাউন্ডারি লাইনে কেমার রোচের হাতে। টেল এন্ডাররা চলে আসাতে সাকিব হাতক খুলে দলের রান বাড়ানোর তাড়না থেকেই মেরে খেলতে গিয়ে আউট হন। লাঞ্চের পর বাংলাদেশ যে ২৭ রান যোগ করে তার ২৪ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।
খালেদ (০)
খালেদকে আউট করে জোসেফ বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেন দলীয় ১০৩ রানেই। খালেদ কোনো রান করতে না পারলে ইনিংসের ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে শূণ্য রানে আউট হন। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ছয় জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হলেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের ছয় জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। খালেদ যখন আউট হন এবাদত তখন ৩ রানে অপরাজিত।
এমপি/এএস