ইয়াসীরের পরিবর্তে টেস্ট দলে এনামুল!
ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেটে লিগে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক মৌসুমে এক হাজার রান করার পুরস্কার আগেই পেয়েছিলেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় উইন্ডিজ সফরে রঙিন পোশাকের দলে সুযোগ পেয়ে। এবার বোনাস হিসেবে পেলেন সাদা পোশাকের দলে সুযোগ।
তিনি এ সুযোগ পেয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বির ইনজুরিতে। গত ১০ জুন তিন দিনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে পিঠের ব্যথার কারণে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ইয়াসির আলী। পরে তিনি আর ব্যাটিং করতে নামতে পারেননি। এমআরআই করানো হলে, সেখানে লুম্বার স্পাইনে চোট ধরা পড়ে। সেরে উঠতে প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। যে কারণে তিনি টেস্ট দল থেকে ছিটকে পড়েন। সুযোগ চলে আসে বিজয়ের।
এনামুল হক বিজয় টেস্ট দলে সুযোগ পেলেও তা শুধু দ্বিতীয় টেস্টের জন্য। কারণ তাকে দলে নেওয়ার কথা বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বুধবার গভীর রাতে। আর দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে আজ অ্যান্টিগাতে। তিনি উইন্ডিজ রওনা হবেন আগামীকাল। যে কারণে তাকে শুধুই দ্বিতীয় টেস্টের জন্যই দলে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে।
এনামুল হক বিজয় জাতীয় দলের হয়ে খেললেও টেস্ট ক্রিকেটে তার রেকর্ড খুব একটা ভালো ছিল না। চার টেস্টের আট ইনিংসে তিনি রান করেছেন মাত্র ৭৩। সর্বোচ্চ রান ছিল ২২। সর্বশেষ টেস্ট খেলে ২০১৪ সালে এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই। আবার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তিনি খুব একটা ভালো করতে পারেননি। গত মৌসুমে এনসিএল ও বিসিএলে ১০ ম্যাচের ১৫ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছিলেন মাত্র ৩৯৬। গড় ছিল ২৮.২৮। ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। চারটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। যেখানে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৮৮ রানের। তাই তার টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তি ছিল অনেকটা বিস্ময়কর!
সে তুলনায় তার ওয়ান ডে ক্যারিয়ার অনেক বর্ণিল ছিল। ম্যাচের ৩৫ ইনিংসে তিনটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করে রান করেছেন ১০৫২। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১২০ রানের। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি ১৩ ম্যাচের ১৩ ইনিংসই ব্যাট করে রান করেছেন ৩৫৫। সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৮। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
এমপি/এসএন