জীবন যেন চলমান গাড়ি, মাঝে মাঝে ব্রেক দিতে হয়
বাংলাদেশের দুর্বল পেস বোলিং আক্রমণে সম্ভাবনার বীজ বপন করে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু করেছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু মন্দ কপাল। যেখানে খেলা আর উইকেটের সঙ্গে তার মিতালি গড়ে উঠার কথা, সেখানে তিনি না চাইতেও মিতালি গড়েছেন ইনজুরির সঙ্গে। ৫ বছরের ক্যারিয়ারে কতবার যে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন তা গুণে শেষ করার মতো নয়। ইনজুরিতে পড়া আর সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আসায় যেন তার নিয়তি হয়ে উঠেছে। এই যেমন ইনজুরি কাটিয়ে আবার তিনি মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। সবকিছু অনুকূলে থাকলে উইন্ডিজ সফরে উইকেট পাওয়ার আনন্দে তাকে আবার দেখা যাবে রঙিন পোশাকে দুই হাত প্রসারিত করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে। তবে কতদিন সুস্থভাবে খেলতে পারবেন।
এভাবে বারবার ইনজুরি পড়া সাইফউদ্দিন নিজ ক্যারিয়ারকে গাড়ি চালানোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি রবিবার (১২ জুন) মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের জীবনেই বিরতি থাকে। ঢাকাতে যদি গাড়ি চালান একই গতিতে গাড়ি চালাতে পারবেন না। ব্রেক দিতেই হবে। যারা অনেক ভাগ্যবান, তারা ইনজুরি ছাড়া অনেক দিন খেলে যেতে পারেন। বেশিরভাগ পেস বোলারের ক্ষেত্রে এমন হয়। জানি না আবার কয়দিন খেলতে পারব। পারফরম্যান্স ও ইনজুরির ব্যাপার আছে। চেষ্টা করছি, কী হবে তা কারও হাতে নেই।’
এভাবে বারবার বিরতিতে পড়ায় নিজেকে কিছুটা আনলাকিও মনে করে সাইফউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কিছুটা দুর্ভাগা তো বটেই। হয়তো আর পাঁচজন পেস বোলারের চেয়ে আমি কিছুটা আনলাকি। কিন্তু এটা জীবনেরই অংশ। এটা মেনে নিয়েই চলতে হবে।’
ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর সাইফউদ্দিন এখন ব্যস্ত ২২ গজের জন্য নিজেকে ফিট করে তোলায়। সেই লক্ষে তিনি প্র্যাকটিস, রিহ্যাব, জিম করছেন। স্কিল ট্রেনিং সেভাবে এখনো শুরু করেননি। আগামী ১৫ জুনের পর তিনি স্কিল ট্রেনিং শুরু করবেন।
এমপি/এসজি