তামিম-শান্তর ব্যাটে রান, জয়-মুমিনুল শূন্য
উইন্ডিজে এবার বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেলেও, সেখানে ক্রিকেটাররা গিয়েছেন কয়েকভাগে। সবাই ভিন্ন ভিন্নভাবে গেলেও উইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিন দিনের প্র¯‘তি ম্যাচে তারা সবাই একত্রিত হয়েই মাঠে নেমেছেন। যেখানে ব্যাটসম্যানদের প্রস্ততি হয়েছে মিশ্র। ওপেনার তামিম ইকবাল ও ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত এবং নুরুল হাসান সোহান ছাড়া আর সবাই ছিলেন ব্যর্থ। তামিম ইকবাল সেঞ্চুরি করে ১৪০ রানে অপরাজিত। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৪ ও নুরুল হাসান সোহান ৩৫ রান করেন। এই তিনজন ছাড়া বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে ইয়াসির আলীর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়াও ছিল দুর্ভাবনার কারণ। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল সেঞ্চুরি পেলেও তার সঙ্গি মাহমুদুল হাসান জয় গোল্লা মেরেছেন। রানে ফেরার জন্য টেস্ট নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়ে সাবেক অধিনায়ক হয়ে যাওয়া মুমিনুল হকও রান খরা কাটাতে পারেননি। তিনিও গোল্লা মেরেছেন। ভালো করতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পাওয়া লিটন দাসও। তিনি একটি চার মেরেই আউট হয়ে গেছেন। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিটকে পড়া মেহেদি হাসান মিরাজও ভালো করতে পারেননি, ৭ রানে আউট হন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশে কোনো নামী-দামী ক্রিকেটার নেই। তারপরও সেই দলের বিপক্ষে তিনজন ছাড়া বাকি সবার ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ যেন দক্ষিণ আফ্রিকার পর শ্রীলঙ্কার সিরিজের ব্যর্থতারই ধারবাহিকতা!
হোক প্রস্তুতি ম্যাচ। তারপরও নেতৃত্ব পেয়ে মুদ্রা নিক্ষেপণে জয়ী হয়েছিলেন লিটন দাস। সিদ্ধান্ত নেন ব্যাটিং করার। কিন্তু শুরুতেই তার সিদ্ধান্তকে বুমেরাং করে দেন মাহমুদুল হাসান জয় কোনো রান না করেই আউট হয়ে গিয়ে। লুইসের বলে ইমলেচের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শুরুর এই কালো মেঘ বাংলার আকাশে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই জনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রান যোগ করে মজবুত ভিত এনে দেন। ৯৯ বলে ৯ চারে ৫৪ রান করে ম্যাকসোয়ানের বলে আথানাজের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেওয়ার পর আবার বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামে।
খুব দ্রুত্ই বিদায় নেন মুমিনুল ও লিটন দাস। চার্লসের বলে ইমলেচের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন মুমিনুল। লিটন এসে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খুললেও তিনি লুইসর বলে ইলমেচের হাতে ধরা পড়েন সেই চার রানেই। মাত্র ১০ রানে হারায় তিনি উইকেট। যে কারণে এক উইকেটে ১৪২ রান থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৫২। এরপর তামিম ইকবাল ও ইয়াসির আলী জুটি বেঁধে দলের বিপর্যয় রোধ করার চেষ্টা করছেন। এর মাঝে চার্লসের বলে এক রান নিয়েই ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। ১৬২ বল খেলে এক ছক্কা ও ১৪ চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। তামিমের সেঞ্চুরির পর ইয়াসির আলী চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান। পরে নুরুল হাসান সোহান এসে তামিমকে সঙ্গ দিয়ে রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন। ৩৫ রান করে সোহান ফিরে যাওয়ার পরপরই মিরাজও ফিরে যান ওয়ারিক্যানের শিকার হয়ে। এরপর মোসাদ্দেক এসে দুই বল খেলে এক ছক্কায় ৬ রান করে আজ আবার তামিমের সঙ্গে ব্যাট করতে নামবেন। মোসাদ্দেকের ছক্কা ছিল ইনিংসের দ্বিতীয়। প্রথমটি ছিল তামিম ইকবালের।
এমপি/আরএ/