তুর্কমেনিস্তানকে হারাতে চান জামাল ভুইয়ারা
বাংলাদেশের ফুটবলাররা কী যাদুর কাঠি হাতে পেয়েছেন? আর্ন্তজাাতিক ফুটবলে যে দল জয় পাওয়াতো দূরের কথা, জিততে হলে যে গোল করতে হয়, সেই গোল করাই ভুলে গেছে! সেই দলই কি না এশিয়ান কাপ বাছাই ফটুবলে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে চায়! এই তুর্কমেনিস্তান ফিফা র্যাঙ্কিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৪ ধাপ এগিয়ে। তারপরও জয়ের আশা! এটা কী দু:সাহস নয়? না কি আলাদীনের চেরাগ হাতে। ঘষা দিলেই নিজেদের ইচ্ছে পূরণ হয়ে যাবে!
আসলে বাংলাদেশ আলাদীনের চেরাগ হাতে পায়নি। জেতার দু:সাহসই দেখাচ্ছে। আর এর পেছনে বাংলাদেশকে সাহস বা অনুপ্রেরণা যুগাচ্ছে প্রথম ম্যাচে বারাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হার। যদিও এই হার আরো বড় ব্যবধানে হতে পারতো, কিন্তু গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর একক নৈপুণ্যে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান বাড়েনি। আরেকটি কারণ বাংলাদেশকে সাহসী করে তুলেছে। তা হলো তুর্কমেনিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়াতে। আগামীকাল শনিবার মালয়েশিয়ার কুলায়ালালামপুরের বুকেট জলিল আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সোয়া তিনটায়।
আগামীকালকের ম্যাচকে সামনে রেখে আজ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভুইয়া দুই জনের কন্ঠেই উচ্চারিত হয়েছে সেই জয়ের কথা। এই সাহসি উচ্চারনে ছিল না কোনো রাখ-ডাক। সরাসরি তারা বলেছেন। দেখেছেন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচও। তা দেখে কোচ তাদের দূর্বলতা খোঁজে কাজে লাগানোর নকশা আঁকছেন।
কোচ ক্যাবরেরার কন্ঠে ছিল, 'আমরা এই ম্যাচ জিততে চাই অবশ্যই। জয় পাওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়।' এরপরই কোচ বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচের কথা টেনে এনে বলেন, 'বাহরারাইনের বিপক্ষে আগের ম্যাচে আমরা প্রতিদন্দিতা করে হেরেছি। এতে করে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। এই আত্মবিশ্বাসের কারণেই আমরা তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কথা ভাবছি। তবে তিনি জেতার যে কথা বলেছেন, সেই চ্যালেঞ্জে জেতাটা সহজ হবে না। তিনি বলেন, তুর্কমেনিস্তান খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ওদের বিপক্ষে আমাদের জন্য জেতার চ্যালেঞ্জটা সহজ হবে না। আমরা ইতিবাচক ফুটবল খেলব।'
অধিনায়ক জামালের কন্ঠেও ছিল জয়ের ধ্বনি। সঙ্গে ছিল কিছু শর্ত। আমরা জয়ী হতে পারব, এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে জয়ের জন্য থাকতে হবে ইচ্ছে, সাহস আর আত্মবিশ্বাস। আর জিততে হলে করতে হবে গোল। এর কোন বিকল্প নেই। জামাল ভুইয়ার কন্ঠে গোলের জন্য যে হাহাকার ফুঠে উঠেছে,তার বাস্তবতাও আছে। কারণ শেষ তিন ম্যাচে বাংলাদেশ কোনো গোল পায়নি। বাহরাইন ও মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে আর ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে গোল শূণ্য ড্র করেছে। দুই দল এর আগে একবার ২০০২ সালে এশিয়ান গেমসেন মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে তুর্কমেনিস্তান জয়ী হয়েছিল ৩-১ গোলে।
এমপি/এএজেড