সাকিবের নেতৃত্ব ও উইন্ডিজ সফর
বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব তৃতীয়বারের মতো টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছেন। এর আগে তিনি ২০০৯ এবং ২০১৭ সালে দুইবার এই গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই তিনবারই তিনি অধিনায়ক হতে গিয়ে একটি বিষয় কাকতলীয়ভাবে মিলে গেছে। আর তা হালো অতীতের মতো এবারও তিনি উইন্ডিজ সফর দিয়ে নেতৃত্ব শুরু করতে যাচ্ছেন।
সাকিব প্রথম নেতৃত্ব পেয়েছিলেন ২০০৯ সালে। তবে সেটা ছিল শূন্যস্থান পূরণ।দুই টেস্টের সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ ছিল দ্বিতীয় সারির দল। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে ক্রিকেটারদের দেন দরবারের ফয়সালা না হওয়াতে তারা আর খেলেননি। ফলে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড বাধ্য হয়ে তাদের দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল।
সেন্ট ভিনসেন্টে মাশরাফি মাত্র ৬.৩ ওভার বোলিং করার পর ইনজুরিতে পড়লে তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ৯৫ রানে। সেটি ছিল দেশের বাইরে বাংলাদেশের প্রথম জয়। কিন্তু এই জয়ে নাম লেখা থাকে মাশরাফির। কারণ তিনি টস করেছিলেন। কিন্তু গ্রানাডাতে পরের টেস্টে সাকিবই টস করেছিলেন। সেই টেস্টেও বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেটে। প্রথম দফা সাকিব যে ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেখানে জয় ছিল এই একটিই। পরে নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন দলের ভরাডুবির কারণে। সাকিব নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমের কাছে।
দ্বিতীয় দফা তিনি দায়িত্ব পান ২০১৮ সালে। সে বছরই ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সাকিব দায়িত্ব পেয়ে উইন্ডিজ সফরে দিয়ে দ্বিতীয় শুরু করেন। অ্যান্টিগা ও জ্যামাইকায় দুই টেস্টে টস করতে নেমে সাকিব কিন্তু এবার আর জয়ের মুখ দেখেনি। দুইটি টেস্টেই হার ছিল শোচণীয়।
প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ২১৯ রানে এবং দ্বিতীয় টেস্টে ১৬৬ রানে। এবার তিনি দলকে পাঁচটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে দুইটিতে জয় পেয়েছিলেন। দুইটি জয়ই ছিল এই উইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে। চট্টগ্রামে ৬৪ রানে জেতার পর ঢাকায় জয়ী হয়েছিলেন ইনিংসও ১৮৪ রানে। দ্বিতীয় দফা তিনি সর্বশেষ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তানের কাছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেই নবিন সদস্যের কাছেই সাকিবকে হারতে হয়েছিল ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে।
সাকিব তৃতীয় দফা যখন দায়িত্ব পেয়েছেন, তখনো তাকে সফর করতে হচ্ছে উইন্ডিজে। সফরটি পূর্ণাঙ্গ। দুই টেস্টের সঙ্গে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। সফর শুরু হবে টেস্ট সিরিজ দিয়ে। ১৬ জুন অ্যান্টিগায় প্রথম ও ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। দেখার পালা সাকিবের তৃতীয় দফা যাত্রা শুরু হয় কিভাবে?
এমপি/এমএমএ/