ইনজুরিতেও তাসকিনের আদর্শ মাশরাফি!
ইনজুরির সঙ্গে পেস বোলারদের বসত বাড়ি যেন এক সুতোয় গাঁথা। বিশ্বে নামি-দামি পেসার থেকে শুরু করে ঘরোয়া যেকোনো পর্যায়ে এমন কোনো পেসার নেই, যারা ইনজুরিতে পড়েননি। জাতীয় দলের পেসারদের ইনুজরি সামনে আসে। অঙ্কের মতো গণনা করে রাখাও হয়। পেসারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ইনজুরিতে পড়েন মাশরাফি। এই ইনজুরির কারণেই মাশরাফির টেস্ট ক্রিকেটের ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। অকালেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাকে।
সেই মাশরাফি অবশ্য ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে এখনো খেলে যাচ্ছেন রঙিন দুনিয়ার ক্রিকেট। সেই মাশরাফিকে আবার আদর্শ মানেন যে পেসার, সেই তাসকিন আহমেদও যেন ইনজুরির দিক দিয়ে মাশরাফিকে অনুসরন করে চলেছেন। ইনজুরি তার নিত্য সঙ্গি হয়ে উঠেছে। এই ইনজুরির কারণে এক সময় দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে গিয়েছিলেন। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি পরে নিজেকে ফিরে পান।
আবার ডাক পান তিন ফরম্যাটেই। কিন্তু ইনজুরি থেকে তিনি মুক্তি পাননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই তিনি প্রথম টেস্টেই ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে পড়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তার সুস্থতরা জন্য তাকে ইংল্যান্ডে পাঠোনো হয়। সেখানে অবশ্য তার অপারেশন করতে হয়নি। এরপর দেশে ফিরে এসে চলে রিহ্যাব। এরপর তিনি আবার মাঠে ফিরেছেন। তবে প্রতিযোগিতামূলক আসরে নয়, অনুশীলনে।
নিজের ইনজুরি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ইনজুরিতো পার্ট অব লাইফ। দুনিয়াতে সব ফাস্ট বোলারদের কো বেশি ইনুজরি হয়ে থাকে। আর এটাই হবে আবার কাম ব্যাক করতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ আর এটাই মজা।’
বারবার ইনজুরিতে পড়া নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘দেখেন ইনজুরিতো তো এক্সিডেন্টলি যে কারও হতে পারে। হাতে থাকে শুধু মাত্র প্রসেস ডিসিপ্লিন। সো এগুলই এখন চেষ্টা করতে পারি। কন্ট্রোলে যেটা আছে সেটাকেই আরও শার্প ভাবে করতে চাই। ইনজুরির বাঁধা মাঝে মাঝে আসবে আর সেটাকে ওভারকাম করতে হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় উদাহরণ তো মাশরাফি ভাই। সেও অনেক ইনজুরিতে ফাইট করে খেলেছে। এসব দেখার পর আমরা তরুন ফাস্ট বোলাররা আরও ইন্সপায়ার হই। ইনজুরি হবেই কিন্তু কাম ব্যাকও করতে হবে।’
এমপি/এমএমএ/