হতাশার দ্বিতীয় সেশনে নেই কোনো উইকেট
প্রথম সেশনে ১৫ মাস পর খেলতে নেমে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের কল্যাণে বাংলাদেশ দল লাঞ্চের আগে সফরকারি শ্রীলঙ্কার দুই উইকেট তুলে নিতে পেরেছিল। সাফল্য বলতে ছিল এই যা। বিনিময়ে লঙ্কানরা সংগ্রহ করেছিল ৭৩ রান। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে লঙ্কানদের কোনো উইকেটই তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলারার। এ সেশনে তারা যোগ করে ৮৫ রান। দলের রান দুই উইকেটে ১৫৮। কুশাল মেন্ডিস ও ম্যাথিউস দুইজনেই ৫৪ রান করে অপরাজিত আছেন।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের হয়ে চার বোলার বোলিং করেছিলেন ২৪ ওভার। যেখানে ছিলেন না সাকিব। তিনি লাঞ্চের পর ১৩ ও ইনিংসের ৩৬তম ওভারে সাকিব প্রথম বল হাতে তুলে নেন। চা বিরতির আগ পর্যন্ত তিনি ১০ ওভার বোলিং করে কোনো ফায়দা নিতে পারেননি। কিন্তু তার বলে আবার ব্যাটসম্যানরা সেভাবে রানও সংগ্রহ করতে পারেননি। ১০ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র নয়। মেডেন ছিল পাঁচটি।
চা বিরতিতে বাংলাদেশর ভাণ্ডারে যোগ হতে পারত একটি উইকেট। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে তাইজুলের বলে কট বিহাইন্ড আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন ম্যাথিউস।
৬৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হওয়ার পর কুশাল মেন্ডিস ও ম্যাথিউস জুটি বেঁধেছিলেন। এ জুটি ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে রানের গালিচা বিছানোর কাজ করে যাচ্ছেন। জুটিতে তারা যোগ করেছেন ৯২ রান। কুশাল মেন্ডিস ৯৩ বলে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ম্যাথিউস ৩৮তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১১ বলে।
এর আগে প্রথম সেশনে নাঈম হাসান অধিনায়ক দিুমথ করুনারত্নেকে মাত্র ৯ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এরপর ওসাদা ফার্নান্ডো ও কুশাল মেন্ডিস লম্বা ইনিংস গড়ার চেষ্টায় লিপ্ত হন। কিন্তু এখানেও বাদ সাধেন নাঈম। এবার তিনি আঘাত হানেন আরেক ওপেনার ওসাদা ফার্নান্ডোর উপর। ৩৬ রানে তাকে উইকেটর পেছনে ক্যাচ ধরে ফিরিয়ে দেন লিটন দাস।
এমপি/এসএন