হেরেও সেমিতে জাহানারার ফ্যালকন
এক ম্যাচ পর আবারও হেরে গেছে জাহানারার ফ্যালকন ওমেন দল। আজ দুবাইয়ে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফ্রেয়ার ব্রেক আমন্ত্রণমূলক ফ্রাঞ্চাইজি আসরে ৩০ রান হেরেছে শাপিয়ার্স ওমেন দলের কাছে। আগে ব্যাট করে শাপিয়ার্স ৩ উইকেটে ১৫২ রান করে। জবাব দিতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেলেও ফ্যালকন ওমেন ৭ উইকেটে ১২২ রান করে। জাহানারা এ ম্যাচে নিজের নামের প্রতি মোটেই সুবিধা করতে পারেননি। ৪ ওভারে তিনি ৩১ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট। যেখানে ডট বল ছিল ৮টি। আসরে জাহানারাদের এটি ছিল ৪ ম্যাচে দ্বিতীয় হার। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে। হারের পরও তাদের সেমিতে খেলা অনেকটা নিশ্চিত। কারণ শাপিয়ার্স ওমেন ফ্যালকনকে হারিয়েও আসর থেকে বিদায় নিয়েছে। তারা আসরের সবকটি (৫টি) ম্যাচ খেলে পয়েন্ট পেয়েছে ৮। অপরদিকে সবার নিচে থাকা ওয়ারিয়ার্স ওমেন ৪ ম্যাচে পেয়েছে ১ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে জিতলেও তারা সেমিতে খেলতে পারবে না। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে ৪ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে স্প্রিট ওমেন ও রুমানা আহমেদের বার্মি আর্মি।
আজকের ম্যাচে জাহানারার দল টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে এলিসা ভিলানির জন্য ফায়দা নিতে পারেনি। ভিলানি ৫৪ বলে ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তবে শুরুটা করেন তার সঙ্গী গ্রেস হ্যারিস। তিনি মাত্র ১৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ২৪ রান করেন। এরপর বেবেটেকে নিয়ে ভিলানি ১২.৫ ওভারে পাক্কা ১০০ রান যোগ করেন। বেবেটে করেন ৪৫ রান।
জাহানারার প্রথম ওভার ছিল দুর্দান্ত। সচরাচর তিনি ইনিংসের প্রথম ওভার করলেও আজ করেন দ্বিতীয় ওভার। ওভার পাঁচটি বলে ব্যাটসম্যানরা কোনো রান নিতে পারেননি। এই ওভারে আসে ২ রান। পরের ওভার করেন চতুর্থ ওভারে। এই ওভারে তিনি কোনো ডট বল দিতে পারেননি। ৫টি সিঙ্গেল রানের সঙ্গে একটি বাউন্ডারি হজম করেন। দশম ওভারে তিনি করেন নিজের তৃতীয় ওভার। এই ওভারে তিনি ২টি ডট বল দিয়ে রান দেন ৭। একটি বাউন্ডারি ছিল তার ওভারে। এরপর ১৭ নম্বরে এসে নিজের শেষ ওভারে এসে তিনি একটি করে চার ও ছক্কা হজম করে রান দেন ১৩। ডট বল ছিল ১টি। ফলে ৪ ওভারে তিনি রান দেন ৩১।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফ্যালকনের সূচনা ছিল উড়ন্ত। ২.৪ ওভারে ২১ রানে আসে উদ্বোধনী জুটিতে। ৮ বলে ১১ রান করে ড্যানি ওয়েট আউট হওয়ার পর আরেক ওপেনার প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান চামিরা আত্তাপাত্তু (৩৪ বলে ৩০) ও অধিনায়ক সুজি বেটিস (২২ বলে ২৫) ৭.১ ওভারে ৫৪ রান যোগ করেন। কিন্তু ৭ রানের ব্যবধানে উভয় ব্যাটসম্যানই আউট হয়ে গেলে কিছু বেকায়দায় পড়ে ফ্যালকন। পরবর্তীতে থিরথা স্টেইস (৩০ বলে অপরাজিত ২৪) ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে না পারলে ২০ ওভার খেলে তারা ৭ উইকেটে করে মাত্র ১২২ রান।
ব্যাট হাতে ৪৫ রানের সঙ্গে ৫টি স্ট্যাম্পিং করে ম্যাচ সেরা হন উইকেট কিপার বেবেটে ডি লিড। জাহানারাদের শেষ ম্যাচ আগামীকাল টর্নেডোজের বিপক্ষে। একই দিন দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবেন রুমানার বার্মি আর্মি। এ ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে লিগ পর্বের খেলা।
এসএন