শেখ কামাল যুব গেমসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার যেকোনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্মার্ট ক্রীড়াবিদ তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আমাদের পরবর্তী টার্গেট হলো- দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করা, যা স্মার্ট ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং এভাবে আমরা যেকোনো আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার মান অর্জন করতে পারব।’
তিনি রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যুব গেমস ক্রীড়া অঙ্গনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং তারকা খেলোয়াড় তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।’ তিনি বলেন, তার সরকার ক্রীড়া অঙ্গনে শ্রেষ্ঠত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তরুণরা যুব গেমসে অংশ নিয়ে বিভিন্ন খেলাধুলায় তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে এবং এভাবে নবীন ও শিশুদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত করবে।
ক্রীড়াবিদদের ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার সৈনিক হিসেবে বর্ণনা করে, প্রধানমন্ত্রী যুব গেমসে তাদের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩-এর উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী পরে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
শেখ কামালের নামে দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের নামকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে অভিনন্দন জানান।
শেখ কামাল বয়সে তার চেয়ে ছোট এবং তার শৈশবের খেলার সঙ্গী ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো দেশকে অনেক কিছু দিতে পারত।
তিনি জানান, তার পরিবার একটি ক্রীড়াপ্রেমী ছিল। তার পরিবারের অনেক সদস্য খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমনকি তার দাদা ছিলেন একজন ফুটবলার। তার ছোট ভাই শেখ কামাল একজন বহুমুখী প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও বাস্কেটবলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শেখ কামালকে আধুনিক ফুটবলের প্রতিষ্ঠাতা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তিনি (শেখ কামাল) আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তরুণদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
শেখ কামাল ভালো খেলতেন। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তিনি উৎকর্ষ অর্জন করেছিলেন। তিনি কয়েকটি নাটকে অভিনয়ও করেন। সকল ক্ষেত্রে শেখ কামালের দক্ষতা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার যুবসমাজকে খেলাধুলায় যত বেশি সম্পৃক্ত করতে পারবে, ভবিষ্যতে তত বেশি লাভবান হবে। খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তরুণদের মেধা ও বুদ্ধি বিকাশের পাশাপাশি তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মন তৈরি হবে যা তাদের খেলাধুলায় আরও অবদান রাখতে সাহায্য করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণেই তার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে খেলাধুলাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে এবং তারা প্রতিভা খুঁজে বের করতে আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা পুনরায় শুরু করেছে।
এমপি/এসএন