বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ

ছবি: সংগৃহীত

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে মোনাকোর বিপক্ষে ৪-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু সেই ফল ছাপিয়েও ম্যাচটা আলোচনায় পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার চোটের কারণে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের বুটের আঘাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মুখ। রক্তাক্ত অবস্থাতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

কিন্তু এই কাণ্ড যে ঘটালো, তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেয়নি রেফারি। আর তাতেই শুরু হলো সমালোচনা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ফরাসি লিগ আঁতে মোনাকোর মুখোমুখি হয় পিএসজি। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে দোন্নারুম্মার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।

মোনাকোর মাঠে স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার উইলফ্রিড সিঙ্গোর নেওয়া শট আটকে দিয়েছিলেন দোন্নারুম্মা। তবে ছুটতে থাকা সিঙ্গো নিজের গতি সামলাতে পারেননি। সংঘর্ষ এড়াতে তিনি চেষ্টা করেছিলেন দোন্নারুম্মাকে টপকে যেতে। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।

দোন্নারুম্মাকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সিঙ্গোর বুটের স্পাইক গিয়ে সরাসরি আঘাত করে পিএসজি গোলকিপারের মুখে। প্রচণ্ড আঘাতে দোন্নারুম্মার গালের অনেকটা অংশই কেটে যায়। রক্তপাত বন্ধ করতে দ্রুত ১০টি স্টাপল করে কাটা অংশ জোড়া দেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক খেলা বন্ধ থাকে। দোন্নারুম্মা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফের শুরু হয় খেলা।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, এমন মারাত্মক ফাউল করলেও সিঙ্গোকে কোনো কার্ড দেখাননি রেফারি। অবশ্য আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন সিঙ্গো।

বিষয়টির সমালোচনা করে পিএসজি মারকিনিওস বলেছেন, আমি জানি না রেফারির ঘটনাটা ঠিকমতো দেখেছেন কি না, তবে ভিএআরের হস্তক্ষেপ করা দরকার ছিল। এরকম অবস্থায় লাল কার্ড না দেখানোটাকে বড় সিদ্ধান্তই বলতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি, বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ঘুষ, দুর্নীতি, বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নজিবুরের আমলে প্রতিটি কাস্টম হাউস, ভ্যাট কমিশনারেট ও কর অঞ্চলের কমিশনারদের প্রতি মাসে ৫০ লাখ টাকা করে দিতে বাধ্য করা হতো। এ ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মতো দপ্তরগুলোতে নিজের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতেন।

দেশের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে নজিবুরের বিরুদ্ধে। একটি গ্রুপকে উচ্চ শুল্ক এড়িয়ে গিয়ে ডাম্পিং ট্রাক আমদানির সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তা লরিতে রূপান্তর ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সরকার বঞ্চিত হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব। পরে নজিবুরের পকেটে গেছে ৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া আরও তিনটি গ্রুপকে তিনি অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন।

জানা গেছে, তার স্ত্রীর আয়কর ফাইলে তিনি ৬০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেন। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট আয়কর কর্মকর্তা আপত্তি জানান। পরে সেই কর্মকর্তাকে তিনি শাস্তিস্বরূপ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। সেই ফাইল নিয়ে এখনো এনবিআর কাজ করছে। তার তিন অর্থবছরের মেয়াদে ৩৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় দেখানো হয়েছে, যা পরে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের (সিজিএ) পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে।

আরও জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুই ছেলের নামে বেস্ট হোল্ডিংয়ের ১০ লাখ প্লেসমেন্ট শেয়ার নেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফারাবি এন এ রহমান পাঁচ লাখ এবং ফুয়াদ এন এ রহমানের নামে পাঁচ লাখ শেয়ার নেন। কোম্পানিটির মূল্য নির্ধারণে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এই শেয়ারের কাট অব প্রাইস (প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মূল্য) নির্ধারণ করা হয় ৩৫ টাকা। এর মানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১০ লাখ শেয়ার কিনতে সাড়ে তিন কোটি টাকা লেগেছে। এর বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সহায়তা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুবছর আগে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামে দলটির কর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে আসামি দেখানো হয়।

Header Ad
Header Ad

কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাত; ভেতরে জিম্মি ১৫ জন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় তারা ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা জিম্মি করে রাখে। পরে যৌথ বাহিনীর তৎপরতায় ৩ ডাকাতকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকাতদল ব্যাংক ভবনে প্রবেশ করে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপস্থিত সবাইকে জিম্মি করে ফেলে।

এ ঘটনার সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে কিছুক্ষণ আগে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রুপালী ব্যাংক শাখা জিম্মি করে রাখা ডাকাতদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আলোচনা চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় তাদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চলছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পীযূষ জানান, বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ডাকাতদল ব্যাংকের ভিতরে অবস্থান করছে। বাহিরে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছেন, তবে ভেতরে কতজন ডাকাত রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দুপুরে ছয়-সাতজনের একটি ডাকাত দল ব্যাংকটির ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং হঠাৎ করেই ব্যাংক এলাকা থেকে ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। এরপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিছু সময় পর র‍্যাব ও সেনাবাহিনীও সেখানে উপস্থিত হয়।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আওলাদ হোসেন বলেছেন, কেরানীগঞ্জের রুপালী ব্যাংকে ১০ থেকে ১৫ জনের মতো জিম্মি আছে। তাদের উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। ডাকাত দলের সদস্যরা দুটি দাবি করেছে। প্রথমটি হচ্ছে লুট করা ১৫ লাখ টাকা তারা নিতে চায়, দ্বিতীয়ত তাদেরকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দিতে হবে। পুলিশ নেগোশিয়েশন ও গ্রেপ্তার দুটি নিয়েই কাজ করছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুয়িদ বলেন, ডাকাতদের হাতে অস্ত্র রয়েছে, তাই নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকিসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শহীদ পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট তাসমীরুল ইসলাম এ অভিযোগ দায়ের করেন।

এসময় তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ, শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

পরে তারা গণমাধ্যম মামলা সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ পর্দার আড়ালের কুশীলবদের বিচারের দাবি করেন তারা।

শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘তৎকালীন সেনাপ্রধানসহ অনেকেই ঘটনার জন্য দায়ী।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাত; ভেতরে জিম্মি ১৫ জন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ কুবিতে ছাত্রদলের ব্যানারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ
রাজশাহীতে বিএনপির মাইকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল  
সেন্টমার্টিনে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাত, ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-পুলিশ
সংস্কারপন্থীদের কারণে বিভেদ বিএনপিতে, ত্যাগীদের ক্ষোভ
লোকসভায় ধস্তাধস্তি; রাহুলের ‘আঘাতে’ বিজেপির ২ এমপি আহত
এক হাজার ৯২ কোটি টাকার মামলা এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে
প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া
কায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
আফগানিস্তানে দু’টি বাস দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
২৩৮ পদে জনবল নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়, আবেদন অনলাইনে
শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, পলকের স্বীকারোক্তি
এক বছর লিভ টুগেদারের পর পার্টনার পছন্দ করেছি: স্বাগতা
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি
সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপু গ্রেপ্তার