বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফুটবল মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত প্রায় ১০০

ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত ফুটবল মাঠে বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে থাকেন দর্শকরা। কিন্তু এবার একটি হতাশাজনক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে মাঠে উপস্থিত গিনির ফুটবল দর্শকরা। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এন’জেরেকোতে একটি ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে প্রায় ১০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, “হাসপাতালে যতদূর চোখ যায় শুধু লাশের সারি। মর্গও ভরে গেছে।”

স্থানীয় হাসপাতালের ওই চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে প্রায় ১০০ জনের মরদেহ রয়েছে।

সামাজিক যোগামাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাঠের বাইরে সংঘর্ষ চলছে। মাটিতে অনেক মরদেহ পড়ে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা এন’জেরকোর থানায় ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী এফএফপিকে বলেছেন, রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের সমর্থকরা খেলার মাঠেও নেমে আসে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গিনির জান্তা নেতা মামাদি দোমবুয়ার সম্মানে আয়োজিত একটি টুর্নামেন্টের অংশ ছিল এই ফুটবল ম্যাচ। মামাদি ২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে গিনির ক্ষমতা দখল করেন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে এই ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। কারণ মামাদি আগামী বছর প্রত্যাশিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং রাজনৈতিক জোট গঠনের দিকে নজর দিচ্ছেন।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডেকে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তা নেতা মামাদি ক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি তৎকালীন কর্নেলকে এই ধরনের অভ্যুত্থান থেকে রাষ্ট্রের প্রধানকে রক্ষা করার জন্য একটি অভিজাত বাহিনীর দায়িত্বে নিযুক্ত করেন।

আন্তর্জাতিক চাপের কারণে মামাদি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, তিনি তা করবেন না।

সামরিক নেতা মামাদি ‘বিস্ময়করভাবে’ চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করেন এবং গত মাসে তিনি নিজেকে সেনা জেনারেলের পদে উন্নীত করেন।

মামাদির বিরুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করার অভিযোগ রয়েছে। অনেক বিরোধী নেতাকে আটক করা হয়েছে, আদালতে আনা হয়েছে বা নির্বাসনে বাধ্য করা হয়েছে।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পরপরই জান্তার জারি করা একটি ‘ক্রান্তিকালীন সনদ’-এ বলা হয়েছিল, জান্তার কোনো সদস্য জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। তবে মামাদির সমর্থকরা সম্প্রতি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থিতার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দেয় যে, সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে নির্বাচন ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক একাউন্টে পাওয়া গেল ১৪ কোটি টাকা

মুন্নী সাহা। ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে জমা হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর পরই এসব আমানতের মধ্যে ১২০ কোটি টাকাই উত্তোলন করা হয়েছে। স্থগিত করা হিসাবে এখন স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা।

মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশনের হিসাবে এই অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ ছাড়া গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড এলাকায় শান্তিনিকেতনে ১৬৫, রোজাগ্রীণে তাদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান মিলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় মুন্নী সাহার স্বামী কবির হোসেনের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশনের নামে ২০১৭ সালের ২ মে একটি হিসাব খোলা হয়। যেখানে নমিনি হিসেবে নাম রয়েছে মুন্নী সাহার।

অন্যদিকে, ব্যাংকটির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় জনৈক মাহফুজুল হকের মালিকানায় প্রাইম ট্রেডার্সের নামে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই একটি হিসাব খোলা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকটি থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণ পরিশোধ না করে বারবার সুদ মওকুফ ও নবায়ন করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালেই সুদ মওকুফ করা হয় ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।

যদিও প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে পারস্পারিক ব্যবসায়ীক কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ বিভিন্ন তারিখে হিসাব দু’টির মধ্যে বিপুল অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের একটি উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়েছে– ওই দিন আলাদা তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে প্রাইম ট্রেডার্সের হিসাবে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়, যা সন্দেহজনক। এই অর্থ পাচার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বিএফআইইউ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়ান ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় প্রাইম ট্রেডার্সের নামে চলতি হিসাব খোলা হয় ২০০৪ সালের ২১ জুলাই। নথি অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে। গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৩ আগস্ট স্থানীয় বাজার থেকে সাড়ে ১১ হাজার টন মটর কেনার জন্য ৯০ দিন মেয়াদি ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ব্যাংক।

তবে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় দুইবার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপরও ঋণ শোধ না করায় ২০১১ সালের জানুয়ারিতে সুদ মওকুফসহ পুনর্গঠন করা হয়। এরপর ২০১২ সালের জুনে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয়বার ঋণ পুনর্গঠন করা হয়। তৃতীয় দফা পুনর্গঠনের সময় সুদ মওকুফ করা হয় ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১২ বছরে মেয়াদ এবং ভবিষ্যৎ সুদ আদায় বন্ধ রাখা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির ফলে পরবর্তীতে ঋণটি ছয় ধাপে ৬ বছরে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধের সময় দেয় ব্যাংক। গ্রাহক ২০১৯ সাল পর্যন্ত কিস্তি দিলেও ২০২০ সালে আর পরিশোধ করেননি। পরবর্তীতে আবার ২০২১ সালে ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার ঋণ ৩৯টি সমান কিস্তিতে ২০২৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকটির কারওয়ানবাজার শাখায় মুন্নী সাহার স্বামী কবির হোসেন ২০১৭ সালের ২ মে এমএস প্রমোশন নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার চলতি হিসাব খোলেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৬ জুন ১৮ কোটি টাকার ওভার ড্রাফট (ওডি) ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের দায় পরিশোধ না হওয়ায় গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারির সভায় ঋণটি নবায়ন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্বাহী কমিটির একই বছরের ২৪ নভেম্বরের সভায় অপরিশোধিত ঋণ হিসাবটি নবায়নসহ ওডি ঋণ সীমা বাড়িয়ে ২৫ কোটি টাকা করা হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালে ঋণ হিসাবটি ৫ বছর মেয়াদি ঋণে পুনঃতপশিল করা করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ডিএনএ মিলেছে, সেই মাহমুদুর রহমানই বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী

সেই মাহমুদুর রহমানই বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্ট তার পরিবারের সঙ্গে মিলেছে। এখন পরিবারে পছন্দমতো কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।

এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দেন।

২০২১ সালে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই সালের ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের জালালাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে জানান, সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকার ওদের গোয়েন্দা বিভাগ একটা নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মিডিয়া একটার পর একটা রিপোর্ট করেছে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। এটা নিয়ে যেন কখনো প্রশ্ন না উঠে সেটা ডিটারমিন করার জন্য এ রিট করেছি। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে সন্তান হিসেবে এটা খুব মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক। এখনো মানুষ জিজ্ঞেস করে সত্যিই কি মারা গেছেন! আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই এটা শেষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত নিরাশ করেননি।

সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে কবর দেওয়া হয় আবুল হারিছ চৌধুরীকে। তার পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আবুল হারিছ চৌধুরীর নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না ও তার নামে থাকা ইন্টারপোল রেড নোটিশ কেন প্রত্যাহার করা হবে না, তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ সম্মান দিয়ে কেন কবরস্থ করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল( জন্ম ও মৃত্যু), সিআইডির পরিচালক, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও সাভার মডেল থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর হারিছ চৌধুরী সস্ত্রীক তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে যান। রাত ১২টার পর তার ব্যক্তিগত সহকারী আতিক মোবাইল ফোনে জানান, ঢাকায় বিএনপি নেতাদের বাসভবনে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। কয়েক ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনী হারিছের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তার আগেই তিনি সটকে পড়েছিলেন। কিছুদিন সিলেটে এখানে-ওখানে লুকিয়ে থাকার পর ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ভারতে চলে যান। ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে তার নানাবাড়ি। সেখানেই তিনি ওঠেন। সেখান থেকেই বিদেশে যাতায়াত করতেন।

Header Ad
Header Ad

৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তন ঘটে। এসময় পালিয়ে যাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি ৭০০ অপরাধীকে, যাদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গিও রয়েছে। এ ছাড়া, দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি কারাগার এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কারাগার থেকে পালানোর ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে জন্য প্রতিটি ঘটনাকে আলাদাভাবে পর্যালোচনা করে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার সংস্কার দরকার জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে, এগুলো দ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কোনো আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর আর কোনো দায় থাকে না কারা কর্তৃপক্ষের। কোনো কয়েদিকেই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। আর যারা ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য, তাদের তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

কারা মহাপরিদর্শকের বক্তব্যে উঠে আসে, ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের আগে ও পরে বিভিন্ন কারাগার থেকে ২২শ’ আসামি পালিয়ে যায়, যাদের ১৫শ’ জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৭০ জন ফাঁসি ও আলোচিত মামলার আসামি এখনও পলাতক।

এদিকে, কারারক্ষী কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক একাউন্টে পাওয়া গেল ১৪ কোটি টাকা
ডিএনএ মিলেছে, সেই মাহমুদুর রহমানই বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী
৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ
ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল
ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম
‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শীত জেঁকে বসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়
আবারও সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ