শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘আগে যারা আব্বু আম্মুকে কটু কথা বলতো, তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে’

ছবি মার্জ : ঢাকাপ্রকাশ

‘ছোট বেলা থেকেই ফুটবল দেখলে নিজের ভিতর অন্য রকম অনুভুতি কাজ করতো। আমার গ্রামে কোন মেয়ে না থাকায় আমার সমবয়সী সব বন্ধু-বান্ধব, ভাই, ভাতিজা ওদের সাথেই খেলতে যেতাম। তার জন্য আব্বু-আম্মুর অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। মাঝে মধ্যে ছেলেদের সাথে খেলতে যাওয়ায় মানুষের কটু কথায় আম্মু অনেক মাইর দিছে তবুও ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা আমাকে আটকে রাখতে পারতো না ঘরে। আব্বুর সাপোর্ট ছিলো আগে থেকেই, কিন্তু আম্মু যখন বারণ করেও আমায় আটকে রাখতে পারেনি তখন থেকে আম্মু ও সাপোর্ট করতো। আগে যে মানুষগুলো আব্বু আম্মু কে কটু কথা বলতো তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে।’

নওগাঁ জেলার প্রথম প্রমীলা ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশ সাফ প্রমীলা ফুটবল দলের পক্ষে নেপাল খেলতে যাওয়ার পূর্বে আইরিন খাতুন ঢাকাপ্রকাশকে এভাবেই বলছিলেন নিজের অনুভূতি আর প্রত্যাশার নানা কথা।

আইরিন খাতুন বলেন, ‘আমার কোন টিম ছিলো না, আর আমাদের গ্রামে এখন পর্যন্ত কোন মেয়েদের টিম হয় নাই। টিম না থাকায় কোথাও খেলতে পারতাম না, অনুশীলন ও হতো না। পরে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে আলম ভাই ছেলেদের অনুশীলন করাতো ওখানেই যেতাম মাঝে মধ্যে। প্রতিদিন যাওয়া সম্ভব হতো না, আমার বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিলো মাঠ এবং আব্বুর সামর্থ্যও ছিল না। তখন ও অনেক মানুষের অনেক কতা শুনতে হতো বুঝেন-ই তো গ্রামের মানুষ।’

আইরিন বলেন, “একদিন আমাদের এলাকার পাশে মেয়েদের দুইটা টিমের প্রীতি ম্যাচ ছিলো। আমি জানার পর আমার বাবাকে বলছিলাম ওই টিমে আমি খেলতে পারবো কি না একটু কথা বলার জন্য। বাবা অনেক লাজুক প্রকৃতির মানুষ লজ্জা পায় অনেক, আমাকে বললো ওরা যদি অপমান করে, তোমাকে খেলতে না দেয়। তখন আমি বললাম বাবা তুমি একবার বলেই দেখো। তখন বাবা অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর বললো, তোমার বড়আব্বু তো একজন শিক্ষক সে ভালো করে বুঝায় বলতে পারবে আমি ওনাকে বলে দেখি উনি কথা বললে হয়তো ভালো হবে। তারপর আব্বু কল দিলো আমার বড়আব্বুকে, সে কল রিসিভ করে শুনার পরে বললো তার কাজ আছে সে যেতে পারবে না! অজুহাত ছিলো মাত্র, সে কিন্তু বিকেলেও খেলা দেখতে গেছিলো! ( বড়আব্বুর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। তারপর আব্বু কল কেটে দিয়ে সাহস করে আমাকে নিয়ে ওই টিমের উদ্দেশ্য রওনা দিলো, টিমের কোচের সাথে কথা বললো, বলার পর কোচ আমাকে টিমের সাথে রেখে মাঠে নেয় এবং বলে আমার গ্রামেই যেহেতু খেলা তাই তিনি আমাকে হাফ টাইমের পর মাঠে নামাবেন। আমিও খুব খুশি হইছিলাম। হাফ টাইমের পর আমাকে মাঠে নামায় এবং আমার খেলা দেখে কোচ খুশি হয়। খেলা শেষে কোচ ( মো. বেলাল হোসেন,দিনাজপুর) আমাকে বলে, পরে কোন খেলায় আমাকে ডাকলে আমি খেলবো কি না। আমি এক কথায় উত্তর দিলাম আমি অবশ্যই যাবো। কারন এতদিন পর আমি একটা টিম পাবো ভাবতেই খুশি লাগছিলো। পরে যখন কোন খেলা হতো তখনি আমাকে ডাকতো এবং আমিও খেলতে যেতাম, কখনো আম্মু আবার কখনো আব্বু সাথে যেতো। কিছুদিন দিনাজপুরেও প্রাক্টিস করেছি। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব ১৭ খেলেছি। পরে কোচ(বেলাল হোসেন, দিনাজপুর) আমাকে ঢাকা লীগে খেলার ব্যাবস্থা করে দেন।”

আইরিনের মা-বাবা

আইরিন খাতুন বলেন, ‘প্রথম লীগে ইনজুরির কারনে দুই ম্যাচে খেলছিলাম তাও ১০ মিনিট মতো হবে। তারপর আবার রাজশাহী বিভাগের হয়ে ঢাকাতে অনুর্ধ ১৭ খেলি। ওখান থেকে ৪০ জনকে বাছাই করে বিকেএসপিতে একটা ক্যাম্প করা হইছিলো, ওখান থেকে ১৫ জনকে স্পেনে পাঠানোর কথা ছিলো। ১৫ জনের মধ্যে ১জন আমিও ছিলাম। এই খবর শুনে আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে একটা সাইকেল উপহার দিয়েছিলো। এখন কিন্তু আগের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেই, বদলি হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বার নিজেই টিম খুজে নিয়েছিলাম এবং লীগের প্রতিটি ম্যাচ প্রথম ১১ তে খেলেছিলাম, ক্লাবের কোচ আমার খেলা অনেক পছন্দ করতো। তারপর ১বছরেরও বেশি সময় লীগ বন্ধ ছিলো। আবার লীগ শুরুর কথা চললে আগের কোচ আমার কাছে আবদার করে এবং অনেক অনুরোধ করে শেষবার তাদের ক্লাবে খেলতে। অনেকবার বলাই আমি না করতে পারিনি, ওই ক্লাবেই আবার খেলি এবং বাংলাদেশ বয়ঃভিত্তিক জাতীয় দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হই। ওই বছরে আমি আমার ক্লাব টিমের অধিনায়ক ছিলাম। বয়ঃভিত্তিক জাতীয় দলে খেলার পর চ্যাম্পিয়ন হই অনুর্ধ ২০ এ, তারপর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দলের ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন চালিয়ে গেছি এবং এবার সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৪ খেলতে এসেছি।’

শিক্ষা জীবন কোথায় থেকে শুরু প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার জন্মস্থান নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ২নং হাতুড় ইউনিয়নের সাগরইল গ্রামে। বাবা কৃষক আব্দুল আলিম ও মা গৃহিণী ফিরোজা বেগম। বেড়ে উঠা গ্রামে, খেলা শুরুটাও মহাদেবপুরেতে। সব কিছুই মহাদেবপুর কেন্দ্রিক। আমার প্রাথমিক স্কুল জীবন সাগরইল এবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং জাহাঙ্গীরপুর মডেল হাই স্কুল মহাদেবপুর থেকে এইচএসসি পাশ করি। ময়মনসিংহ তারাকান্দা ভাষা সৈনিক শামসুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সবাই আমার জন্য এবং আমাদের টিমের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা বাংলাদেশকে আরো একটি ট্রফি উপহার দিতে পারি।’

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার