টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রাইভেটকারে গুলি করে মহিষ ব্যবসায়ীদের থেকে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, ১০ রাউন্ড গুলি এবং লুণ্ঠিত ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত দুই ডাকাতের একজন বরিশালের দুধল মৌ এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে মো. মিলন (৪৬) এবং আরেকজন রাজবাড়ীর খানখানাপুর এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন মামুন (৫০)।
জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় সখীপুর-গোড়াই আঞ্চলিক সড়কে মহিষ ব্যবসায়ীদের বহনকারী প্রাইভেটকারকে ১০/১২ জন ডাকাদল মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল দিয়ে থামায়।
এরপর ডাকাতরা প্রথমে প্রাইভেটকারের সামনের গ্লাসে আঘাত করে ভেঙে ফেলে এবং মহিষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৭৮ লাখ টাকার ২টি ব্যাগ ডাকাতি করার চেষ্টা করে।
এ সময় মহিষ ব্যবসায়ীরা টাকা দিতে না চাইলে তারা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করে। মহিষ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের কাছে থাকা ২টি টাকা ভর্তি ব্যাগ ডাকাতদেরকে দিয়ে দেয়। পরে ডাকাতরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় ডিবি, ও মির্জাপুর থানা পুলিশের তদন্তে নামে। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি পুলিশ এবং মির্জাপুর থানা পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টিম গত ১১ এপ্রিল ঢাকার হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে মাইক্রোবাস চালক ডাকাত মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় লুণ্ঠিত নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। পরে ১৮ এপ্রিল ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ইসমাইল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার ভাড়া বাসা থেকে লুণ্ঠিত ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় এবং তার দেয়া তথ্য মতে মির্জাপুর থেকে ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গুলি উদ্ধারের ঘটনায় মির্জাপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকত দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।