আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যাওয়ায় ইকুয়েডর কোচকে বরখাস্ত
ছবি: সংগৃহীত
কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে চাকরি খুইয়েছেন ইকুয়েডর কোচ ফেলিক্স সানচেজ। তাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ)। আজ লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে খেলার মূল সময়ে ১-১ গোলে সমতা ধরে রাখলেও টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরে যায় ইকুয়েডর ।
১৯৯৩ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল খেলেছিল ইকুয়েডর। দীর্ঘদিন সেরা চারের লড়াইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারার সেই আক্ষেপ আজ (শুক্রবার) প্রায় ঘুচিয়েই ফেলেছিল। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে। এমন হারের পর চাকরি ছাড়তে হয়েছে ইকুয়েডর কোচ ফেলিক্স সানচেজকে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) ও কোচ ফেলিক্স সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃতীয়বারের মতো এবারের কোপায় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেছিল ইকুয়েডর। যদিও গ্রুপপর্বে তাদের অভিযান খুব একটা সফল ছিল না। তিন ম্যাচের মধ্যে তারা এক জয়ের সঙ্গে একটি ড্র ও হার দেখেছিল। ফলে অন্যতম ফেবারিট আর্জেন্টিনার বিপক্ষে যে কঠিন লড়াইয়ে পড়তে হবে, সেটি জানা-ই ছিল। তবে নাটকীয়ভাবে তারা নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে খেলা টাইব্রেকারে নিয়ে যায়।
এরপর পেনাল্টি শ্যুট আউটে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বীরত্বে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এমন হার ইকুয়েডর কোচের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিলো। এর আগে ২০১৯ সালে ফেলিক্সের অধীনেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছিল কাতার। পরবর্তীতে গত বছরের মার্চে তিনি চার বছরের চুক্তিতে দায়িত্ব নেন ইকুয়েডরের। কিন্তু এক বছর পেরোতেই ফেলিক্সের ‘লা ত্রি’ অধ্যায়ের ইতি ঘটল।
এফইএফ বিবৃতিতে বলেছে, ‘এফইএফ জানাচ্ছে, আজ ফেলিক্স সানচেজের সম্মতির ভিত্তিতে তার সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের ইতি টানার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌছানো গেছে। ফেলিক্স এবং তার কোচিং স্টাফের পেশাদারত্ব ও কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে তাদের সাফল্য কামনা করি।’
গত বছরের মার্চে ৪ বছরের চুক্তিতে সানচেজকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করে এফইএফ। এক বছরের বেশি কিছু সময় দায়িত্ব পালনের পরই চাকরি হারাতে হলো তাকে। ২০১৯ সালে কাতারকে প্রথমবারের মতো এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে জায়গা করে দিয়েছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ।
কোপা থেকে দল ছিটকে গেলেও, শিষ্যদের প্রশংসা করেছেন দায়িত্ব ছাড়া ৪৮ বছর বয়সী এই ইকুয়েডর কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রুপপর্ব থেকে নকআউট পর্বে এসেছিলাম। এরপর আমরা আর উন্নতি করতে না পারলেও, আমি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে চাই। আমার মতে তারা এর কৃতিত্ব পাওয়ার দাবিদার। একইসঙ্গে আমি মনে করি টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে অন্যদের তুলনায় আমরা কম অভিজ্ঞ। তবে ফলাফল আমাদের পক্ষে না এলেও, এই তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস রাখা যায়।’