শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে কোপার সেমিফাইনালে উঠেছে মেসির আর্জেন্টিনা। ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে মেসি পেনাল্টি মিস করলেও বাকি সকলেই জালের দেখা পান। আর ইকুয়েডরের প্রথম দুই ফুটবলার পেনাল্টি মিস করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার আসরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট না থাকায় ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে প্রথম শটই মিস করেন লিওনেল মেসি। পরের দুই শটই ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মেসির ভুল সামলে নেন তিনি। জমে যাওয়া টাইব্রেকারে শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে জিতে কোপার সেমিফাইনালে উঠে গেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের প্রথম সেরা সুযোগ পায় ইকুয়েডর। অষ্টম মিনিটে মোয়াসেস কাইসেডো বল নিয়ে আর্জেন্টাইন বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। তার শট সোজাসুজি মার্টিনেজের হাতে ধরা পড়ে।

১৫তম মিনিটে আরেকবার আক্রমণে যায় ইকুয়েডর। সারমিয়েন্তোর শট মার্টিনেজ ফিরিয়ে দিলেও বল পড়ে পায়েজের সামনে। তার শট লক্ষ্যে থাকেনি।

ইকুয়েডরের গোল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কিপার। অন্যদিকে আর্জেন্টাইন আক্রমণ গোলকিপারের কাছে পৌঁছানোর আগেই প্রতিহত করতে থাকে ইকুয়েডরিয়ান রক্ষণভাগ। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।

৩৫ মিনিটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা গোল পায়। মেসির কর্নার থেকে ম্যাক অ্যালিস্টার বল ফ্লিক করে দূরের পোস্টে পাঠান। লিসান্দ্রো মার্টিনেজ হেড করে জাল কাঁপান। ইকুয়েডর কিপার ডোমিঙ্গেজ বল পাঞ্চ করলেও ততক্ষণে গোললাইন পেরিয়ে যায়। আর্জেন্টিনার জার্সিতে লিসান্দ্রোর এটি ছিল প্রথম গোল।

৪১ মিনিটে এঞ্জো ফের্নান্দেজ আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। দূরের পোস্টে নেওয়া তার কোনাকুনি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতি থেকে ফিরে ৫৬ মিনিটে ইকুয়েডরের বক্সের মধ্যে লাউতারো বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন। কিন্তু তার দুর্বল শট লক্ষ্যে ছিল না।

পরের মিনিটে ইকুয়েডর পরপর দুটি কর্নার পেরেও কাজে লাগাতে পারেনি। ৫৯ মিনিটে কাইসেডো বক্সের মধ্যে সারমিয়েন্তোকে খুঁজে পেয়ে বল তুলে দেন তার কাছে। কিন্তু লিসান্দ্রো সময়মতো হেড করে বল বিপদমুক্ত করেন।

পরের মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের ভুলে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল বক্সের মধ্যে তার হাতে লাগে। ভিএআর চেক করেও একই সিদ্ধান্ত জানান রেফারি।

সহজ সুযোগ পেয়েও ইকুয়েডর সমতা ফেরাতে পারেনি। ৬২ মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়ার পেনাল্টি শট মার্টিনেজকে ভুল দিকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু বল বাঁ পাশের পোস্টে আঘাত করে তাকে হতাশায় ভাসায়। যদিও কিছুক্ষণের জন্য ইকুয়েডর আশার আলো দেখে, রেফারি ভিএআর চেক করে দেখতে চেয়েছিলেন ভ্যালেন্সিয়া শট নেওয়ার সময় মার্টিনেজের দুটো পা লাইনে ছিল কি না।

বড় বাঁচা বেঁচে গেলেও আর্জেন্টিনা মাত্র এক গোলের লিড নিয়ে বাকি সময় অস্বস্তিতে ছিল। শেষ দিকে ইকুয়েডর চাপ দিয়ে খেলতে থাকে। তাতে ছন্দ হারিয়ে এই টুর্নামেন্টে প্রথম গোল হজম করে আর্জেন্টিনা। ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে ইয়েবোয়াহর চমৎকার ক্রসে রদ্রিগেজের হেডে জালে জড়ায় বল। গোল নিয়ে সংশয় থাকায় রেফারি বেশ সময় নিয়ে ভিএআর চেক করেন। তবে গোল বহাল থাকে।

একেবারে শেষ মুহূর্তে ইকুয়েডরের আরেকটি প্রচেষ্টা ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। বাঁ দিক থেকে রদ্রিগেজের ক্রসে কাইসেডো হেড করলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

নির্ধারিত সময়ে স্কোর ১-১ এ থাকায় ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। প্রথম শটেই মেসি ক্রসবারে আঘাত করেন। অ্যাঞ্জেল মিনার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে মার্টিনেজ দারুণ সেভ করে আর্জেন্টিনার আশা জাগান। জুলিয়ান আলভারেজের শক্তিশালী শট থামানোর কোনও সুযোগ পাননি ইকুয়েডর কিপার ডোমিঙ্গেজ। আর্জেন্টিনা কিপার ইকুয়েডরের অ্যালেন মিন্দার দ্বিতীয় শটও রুখে দেন ডানদিকে ডাইভ দিয়ে। ম্যাক অ্যালিস্টার ডানপোস্টের ভেতর দিয়ে জাল কাঁপান। তৃতীয় শটে ইয়েবোহার কিকে ইকুয়েডর প্রথমবার লক্ষ্যভেদ করে। গঞ্জালো মন্তিয়েল জাল কাঁপিয়ে আর্জেন্টিনাকে স্বস্তিতে রাখেন।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

মিঠাপুকুর উপজেলা সাব দলিল সম্পাদন নিয়ে সেবা গ্রহিতার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় রেজিস্ট্রার শিরিনা আক্তার জনতার তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন।

গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিসে দলিল রেজিষ্ট্রি করার নিয়ম থাকলেও মিঠাপুকুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার শিরিনা আক্তার তা মানেন না। দুপুর ২টার পর তিনি আর দলিল রেজিষ্ট্রি করেন না।

এ নিয়ে গ্রাহকরা অনুরোধ জানালেও তিনি তা মানেন না। এমনকি অনেকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং অফিস থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার পুনরায় এরকম ঘটনা ঘটলে,  উপস্থিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে সাব রেজিস্ট্রার শিরিনা আক্তারকে অবরুদ্ধ করে। অবশেষে জনগনের তোপের মুখে কৌশলে পালিয়ে যান মিঠাপুকুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার শিরিনা আক্তার।

এ ব্যাপারে বিস্তারীত জানার জন্য মিঠাপুকুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার শিরিনা আক্তার এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিঁনি ফোন রিসিভ করেননি।

মিঠাপুকুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারী অফিসের দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, সাব রেজিস্ট্রার সাহেব দুপুর ২টার পর দলিল রেজিষ্ট্রি করতে না চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয় এবং সাব রেজিস্ট্রার সাহেবকে অবরুদ্ধ করে। আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্ব-সম্মনে অটোযোগে বাসায় পাঠিয়ে দেই। এসময় তিনি জনতার উদ্দেশ্যে “সরি”-ও বলেছেন।

Header Ad
Header Ad

আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  

চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি ও তার মা। ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মা-বোনের থানায় দায়ের করা জিডির পর প্রকাশ্যে আসেন এক সময়ের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি।

প্রকাশ্যে এসেই পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেন তিনি। জানান, বিগত সময়ে পরিবারের সদস্যেরা কিভাবে তাকে ব্যবহার করেছেন।

এরপরই জানা গেল পপি বিয়ে করেছেন এবং তার একটি সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ে প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেননি তিনি।

তবে সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিয়ে সিদ্ধান্ত, স্বামী-সন্তান ও সিনেমা নিয়ে কথা বলেছেন নায়িকা।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে পপি জানান, বিয়ে নিয়ে তার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তার ভাষ্য, ২০১৯ সালে বাসায় একটা ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে। সেদিন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন। পরে তাকে রমনা থানায় ডাকা হয়।

সেদিনের বর্ণনায় পপি বলেন, ‘সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাই-বোনেরা। ঘটনাচক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেল। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি। আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলেছিল, ‘আমি আছি, নো টেনশন।’

তিনি বলেন, ওই সময়ে এমন একজন বন্ধুকে যদি না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। তখনো ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম। তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা, হয় আত্মহত্যা করতে হতো, নয়তো ওদের হাতে খুন হয়ে যেতে।

পপি বলেন, আদনানই তখন আমাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে আমরা বিয়ে করতে বাধ্য হই। ২০২০ সালের নভেম্বরে বিয়ে করি বাসায় কাজি ডেকে। আমার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। এটা সত্য, বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইত না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’

কথা প্রসঙ্গে পপি জানান, তিনি তার মতো সংসার শুরু করেন। স্বামীর সঙ্গে ধানমন্ডিতে থাকতেন। তার ভাষ্যে, ‘আমার সংসার বাঁচানোর জন্য আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর আমার স্বামী যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছি। আমি কিন্তু অনেকবার বলেছিও, বিয়ের পর আমি সিনেমা ছেড়ে দেব। আমার স্বামী না চাইলেও সিনেমায় কাজ করব না।’

প্রথম পরিচয় কবে? জানতে চাইলে পপি বলেন, ‘আমাদের পরিচয় সাত বছরের। পরিচয়ের তিন বছর পর আমাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ে নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। আদনানের সঙ্গে আমার মা-বাবাসহ পরিবারের সবার সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারে যাওয়া-আসা ছিল। আমরা সবাই মিলে ঘুরতেও গেছি। পারিবারিক বন্ধু, আমার অসাধারণ একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। আমার যেকোনো বিপদে সে ছায়ার মতো পাশে ছিল।

Header Ad
Header Ad

ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন  

ছবিঃ সংগৃহীত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডার হানিফ তার দুই সঙ্গীসহ খুন হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষ বন্দুকধারীরা তাদের হত্যা করে।

খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকার একটি ক্যানালের পাশ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। তিনজনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশে দুইটি মটরসাইকেল ও নিহতদের ব্যবহৃত হেলমেট পড়ে ছিল।

হত্যার দায় স্বীকার করে ‘জাসদ গণবাহিনীর কালু’ পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় মিলেছে। এরা হলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দীনের ছেলে শাতাধীক হত্যা মামলার আসামী হানেফ আলী (৫২) ও তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে লিটন (৩৫)। বাকি একজনের পরিচয় মেলেনি।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে এই এলাকায় তারা একাধিক গুলির শব্দ শুনতে পান। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ইবি থানার পিয়ারপুর ও শৈলকুপায় রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে শ্মশানঘাট এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়েছে। তারা এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান তিনজনের মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশে তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল পড়ে আছে। যার নম্বর চুয়াডাঙ্গা ল ১২-০১২৩।

এলাকার বাসিন্দারা আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানিফ আলী, তার শ্যালক লিটন হোসেন রয়েছেন। একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তারা সবাই চরমপন্থী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একইস্থানে ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর পাঁচজনকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নিহত হানিফ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ছিলেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তার ফাঁসি আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে হাসিনা সরকারের সময় প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন হানিফ এবং মৎস্যজীবী লীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর হানিফ আরও একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ফিরে আসার চেষ্টা করেন।

এদিকে হত্যার দায় স্বীকার করে ‘জাসদ গণবাহিনীর কালু’ পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় দাবি করা হয় ‘এতদ্বারা ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাবাসীর উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মো. হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কালু জাসদ গণবাহিনী।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  
ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন  
দুদকে এখনো বহাল ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেষণে আসা অর্ধশত কর্মকর্তা  
খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা