চ্যাম্পিয়নস লিগ মিসে ‘বিধ্বস্ত’ লিভারপুল
ওল্ড ট্রাফোর্ডে উড়ে গেল চেলসি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আঙিনায় হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। এতে ব্লুজরা যতটা না কষ্ট পেয়েছে তার চেয়ে বহুগুণ বেশি কষ্ট দিয়েছে লিভারপুলকে। কেননা, এই জয়ে ম্যানইউ ফিরেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে। আর ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে লিভারপুল।
প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে আগেই। শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুইয়ে থেকে মৌসুম শেষ করবে আর্সেনাল। তিন ও চারে ম্যানইউ এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেডের থাকা নিশ্চিত। লিভারপুলের মৌসুম শেষ হবে লিগ টেবিলের পাঁচে থেকে।
ইংল্যান্ডের টপ-ফ্লাইটে ৩৭তম রাউন্ডের ম্যাচ শেষে সেরা চার দলের পয়েন্ট যথাক্রমে ৮৯, ৮১, ৭২ ও ৭০। লিভারপুলের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৬৬ পয়েন্ট। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিওনের ছয়ে থাকা নিশ্চিত। তাদের পয়েন্ট ৬২। অর্থাৎ শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ফল যাই হোক না কেন, পার্থক্য আসবে সেরা ছয়ে।
বাইলজ অনুযায়ী, প্রিমিয়ার লিগের সেরা চার দল সামনের মৌসুমে খেলবে চ্যাম্পিয়নস লিগে। টেবিলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ দল লড়বে ইউরোপা লিগে। তারই একটি লিভারপুল। দীর্ঘ ৭ বছর পর ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্টে দেখা যাবে না অলরেডদের। এতে বিধ্বস্ত ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা, যা স্পষ্ট মোহাম্মদ সালাহর বক্তব্যে।
যদি ম্যানইউ চেলসির কাছে হেরে যেত এবং লিভারপুল মৌসুম শেষ করত জয় দিয়ে, তাহলে চ্যাম্পিয়নস লিগে টিকে যেত অলরেডরা। কিন্তু তাদের সেই সুযোগ দেয়নি রেড ডেভিলসরা। এরিক টেন হ্যাগের শিষ্যরা ব্লুজদের উড়িয়ে হতাশায় ডুবিয়েছে লিভারপুলকে।
ম্যানইউর চেলসি জয়ের পর সালাহ বলেছেন, ‘আমরা আপনাদের (ভক্তদের) এবং নিজেদের হতাশ করেছি। পরের বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে যাওয়ার জন্য যা যা দরকার ছিল তার সবই ছিল আমাদের, কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমি দুঃখিত। তবে দ্রুতই এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াব।’
এসজি