দুর্বার রাজশাহীর কাছে অপ্রতিরোধ্য রংপুরের প্রথম হারের স্বাদ
ছবি: সংগৃহীত
বিপিএলের চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রংপুর রাইডার্স অবশেষে তাদের প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে। চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২৪ রানে হার মেনেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্লোবাল সুপার কাপ জয়ী রংপুর রাইডার্স এর আগে টানা ৮ ম্যাচ জিতলেও এদিন রাজশাহীর বোলিং তোপে টিকে থাকতে পারেনি।
রাজশাহীর এ জয়ে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। যদিও পারিশ্রমিক পরিশোধ নিয়ে দলটির ড্রেসিংরুমে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবুও ১০ ম্যাচের মধ্যে ৪টি জিতে তারা প্লে-অফে ওঠার আশা জাগিয়েছে।
চট্টগ্রামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। ওপেনার সাব্বির হোসেন ঝড়ো ব্যাটিং করে ১৯ বলে ৩৯ রান করেন, যেখানে চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার ছিল। তার সঙ্গী পাকিস্তানি ওপেনার হারিস রউফ করেন ১৯ রান।
তৃতীয় ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় ৩১ বলে ৩৪ রান যোগ করেন। তবে দলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইনিংসটি খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তিনি ৩২ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছয়টি ছক্কা এবং দুটি চারের মার ছিল। লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় দলের রান আরও বড় হয়নি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্সের ইনিংস শেষ হয় ১৪৬ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন সাইফ হাসান, যিনি ২৯ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৬ বলে ৪১ রান করেন, ইনিংসে চারটি চার ও দুটি ছক্কার মার ছিল। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা একের পর এক উইকেট হারিয়ে ব্যর্থ হন।
রাজশাহীর জিম্বাবুইয়ান স্পিন অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। তাসকিন আহমেদ ৩.২ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে দলকে বড় অবদান রাখেন। এছাড়া স্পিনার এসএম মেহরাব ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন।
রংপুরের বোলার খুশদিল শাহ ও আকিফ জাভেদ তিনটি করে উইকেট পেলেও রাজশাহীর ব্যাটিংয়ের কাছে সেটা যথেষ্ট ছিল না।
এই ম্যাচের পরও রংপুর রাইডার্স ইতোমধ্যে সুপার ফোরে জায়গা নিশ্চিত করেছে। তবে রাজশাহীর এ জয় তাদের শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে।