ঢাকা টেস্ট
অভিষেকের ৩ বছর পর খালেদের প্রথম উইকেট
ছবি : সংগৃহীত
একজন ব্যাটসম্যানের জন্য সেঞ্চুরি চির আরাধ্য হলেও একজন বোলারের জন্য উইকেট সোনার হরিণ। অভিষেকে একজন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামেন। সেখানে কেউ সফল হন, কেউবা সেঞ্চুরি না পেলেও রানের খাতা খুলে অনেক দূর যান। আবার কেউ রানের খাতাই খুলতে পারেন না। তবে একজন ব্যাটসম্যানের শুন্য রানে আউট হওয়ার চেয়ে অভিষেকে একজন বোলারের উইকেট শুন্য থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। টেস্ট ইতিহাসের রেকর্ড ঘাটলে এ রকম নজির আছে অসংখ্য। এ রকমই একজন বাংলাদেশের পেসার সিলেটের ছেলে সৈয়দ খালেদ আহমেদ। অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি কোনো উইকেট পাননি। এমন কি পরের বছর নিউ জিল্যান্ডের বিপেক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেও থেকেছেন উইকেট শুন্য। সেই খালেদ নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট পেলেন আজ পাকিস্তানের দলপতি বাবর আজমকে ফিরিয়ে দিয়ে। সময়ের হিসাবে প্রথম উইকেট পেতে তার সময় লেগেছে ৩ বছর ২৭ দিন।
সময়ের হিসাবে খালেদের প্রথম উইকেট পেতে এত সময় লাগার কারণ টেস্ট ক্রিকেটে অনিয়মত থাকা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলার আগে তিনি টেস্ট খেলেছিলেন মাত্র দুইটি। একটি অভিষেক হয়েছিল ২০১৮ সালে ঢাকায় দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুই ইনিংসে ৩০ ওভার বোলিং করে তিনি উইকেট শুন্য ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১৮ ওভারে ৪৮ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৫ রান। টেস্টে খালেদের জন্য বিবর্ণ অভিষেক হলেও টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিল ২১৮ রানে। দ্বিতীয় টেস্ট খেলেন পরের বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯ সালে হ্যামিলটনে।
এবার দুই ইনিংসে বোলিং করার সুযোগ পাননি। কারণ তার আগেই নিউ জিল্যান্ড টেস্ট জিতেছিল ইনিংস ও ৫২ রানে। খালেদ প্রথম ইনিংসে ৩০ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছিলেন ১৪৯। এরপর ২০২০ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ দল মাত্র ২টি টেস্ট খেলেছিল। যেখানে ঠাঁই হয়নি খালেদের। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিনি দলে ডাক পান। ঢাকা টেস্টের সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ার পর সোনর হরিণ হয়ে থাকা উইকেটের সন্ধান পান। পাকিস্তানের দলপতি বাবর আজমকে এলবিডবিউর ফাঁদে ফেলেন ব্যক্তিগত ৭৬ রানে। উইকেট বরাবর বল একটু নিচে হয়ে এলে বাবর আজম ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। বল গিয়ে সোজা লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দেন। নিজেকে বাঁচাতে পাক দলপতি রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
এমপি/টিটি