বড় হারে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে দেশে ফিরছে বাঘিনীরা
ছবি: সংগৃহীত
ব্যাটারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় নারী বিশ্বকাপের শেষটা আর শুরুর মতো হলো না বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। স্কটিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ নারী দল পরর্বতী তিন ম্যাচে আর দাঁড়াতেই পারেনি প্রতিপক্ষের সামনে। শেষ তিন ম্যাচই হেরেছে প্রতিপক্ষের সাথে বড় ব্যবধানে।
আসরজুড়ে যা দেখা গেল, শেষ ম্যাচে এসেও যেন সেই চেনা দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। প্রতিবারের মতো এবারও বিবর্ণ এক বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শনিবার (১২ অক্টোর) রাতে দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করেছিলো ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।
জবাব দিতে নেমে ১৭.২ ওভারে (১৬ বল হাতে রেখে) ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়া নারী ক্রিকেটাররা। দলের হয়ে ৪৩ বলে ৪টি চারে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন সোবহানা মোস্তারি। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৩৮ বল খেলে অপরাজিত রয়ে যান ৩২ রানে।
এদিকে অল্প পুঁজি হওয়ায় লড়াই জমাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ১৬ বল হাতে রেখেই।দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই দিলারা আক্তারকে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারে তারা তুলতে পারে মাত্র ১০ রান, নেই কোনো বাউন্ডারি!
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ৪৩। সোবহানা ও নিগারের জুটি এগিয়ে নেয় দলকে। তবে রানের গতিতে দম দিতে পারেননি কেউ। ৪৫ রানের জুটিতে দুজন খেলেন ৫৬ বল। অষ্টাদশ ওভারে সোবহানার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। শেষ ২ ওভারে ২৩ রান নিয়ে কোনোমতে একশ ছাড়াতে পারে বাংলাদেশ। তবে জয়ের জন্য এই রান মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়াসরা শুরুতে লরা উলভারডটের (৭) উইকেট তুলে নিলেও পরের ব্যাটারদের ওপর আর আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। আরেক ওপেনার তাজমিন ব্রিটস ৪১ বলে তোলেন ৪২ রান। অ্যনেক বোস ২৫ বলে করেন ২৫ রান। মারিজানে কাপ অপরাজিত থাকেন ১৩ রান। ক্লো ত্রাইওন ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১৭.২ ওভারে জয় তুলে নেয়া প্রোটিয়া নারীরা। ফাহিমা খাতুন ২টি এবং রিতু মনি নেন ১ উইকেট।
উল্লেখ্য, এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমি-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ভালোভাবেই রইল দক্ষিণ আফ্রিকা। চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে তারা। অন্যদিকে হেরে বাংলাদেশ দল আজ ধরবে ফেরার ফ্লাইট।