শেয়ারবাজারে শুভেচ্ছাদূতের পদ হারালেন সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শুভেচ্ছাদূত থেকে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বিএসইসির কমিশন সভায় নেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি জানিয়েছে।
২০১৭ সালে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’-এর শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দেয় বিএসইসি। ওই বছরের অক্টোবরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাকিবকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিএসইসির সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান ছিলেন এম খায়রুল হোসেন।
পরে বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত–উল–ইসলাম। ২০২০ সালে শিবলীর নেতৃত্বে বিএসইসি পুনর্গঠন হলেও সাকিব আল হাসানকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বহাল রাখা হয়। শিবলী রুবাইয়াতের সময়ে শেয়ারবাজারের একজন আলোচিত বিনিয়োগকারী হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটে সাকিব আল হাসান।
শেয়ারবাজারের বহুল আলোচিত-সমালোচিত কারসাজিকারক আবুল খায়ের হিরুর সঙ্গে মিলে শেয়ারবাজারের বড় বিনিয়োগকারী হয়ে যান এই ক্রিকেটার। গত চার থেকে পাঁচ বছরে শেয়ারবাজারে যেসব শেয়ার নিয়ে আবুল খায়ের হিরু সবচেয়ে বেশি কারসাজির ঘটনা ঘটিয়েছেন, এসব কোম্পানির শেয়ারে সাকিবেরও বিনিয়োগ ছিল।
কিন্তু বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত হিসাবে সব কারসাজিতে তিনি পার পেয়ে যায়। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের ভোটারবিহীন নির্বাচনে সাকিব আল হাসান মাগুরা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর হিরুর সাথে শেয়ারবাজারে সাকিবের কারসাজির দৌরাত্ব আরও বেড়ে যায়।