ছাদখোলা বাসে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বর্ণাঢ্য বরণ, প্রচণ্ড ভিড়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা!
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজয় করে সুদূর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে দেশে ফেরা ৷ দীর্ঘ বিমানযাত্রার ধকল উপেক্ষা করেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশনে মাতলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা ৷ মুম্বইয়ের মারিন ড্রাইভে রোহিত-বিরাট, হার্দিকদের দেখতে উপচে পড়ল জনতা। মুম্বাইয়ে আরব সাগরের তীর ঘেঁষে যেন গর্জন তুলেছে আরেকটি সমুদ্র, নাম তার ‘নীল জনসমুদ্র’।
মুম্বাইয়ের রাস্তায় বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জনজোয়ার দেখে চমকে উঠবেন যে কেউই ৷ যেখানে চোখ যায়, শুধু মানুষের মাথা ৷ সমর্থকরা জাতীয় পতাকা এবং পোস্টার নিয়ে দুপুর থেকেই একে একে ভিড় জমাচ্ছিলেন ৷ সন্ধ্যা গড়াতেই শুরু হয় মহা সেলিব্রেশন ৷
হুড খোলা বাসে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ঘোরার আগে ওয়াংখেড়েতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয় ৷ এরপর ক্রিকেটাররা মাঠ প্রদক্ষিণ করেন, তখন লুপে বাজছিল ‘বন্দে মাতরম’। হঠাৎ বিরাটই এগিয়ে এসে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে হাত তুলে গলা মেলানো শুরু করলেন। তার সঙ্গে দিলেন হার্দিক, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেলরাও। আর এঁদের দেখে দর্শকরাও যেন আরও বেশি করে উজ্জীবিত হয়ে উঠলেন।
তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ফ্যানদের প্রচণ্ড ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে ৷ অনেকেই জানিয়েছেন এত ভিড়ের মধ্যে একসময়ে শ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ মারিন ড্রাইভের রাস্তায় যেন গোটা মুম্বইয়ের জনতা এদিন নেমে পড়েছিলেন ৷ বাচ্চা থেকে বয়স্ক, প্রত্যেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশনে এদিন অংশ নিতে চেয়েছিলেন ৷
মারিন ড্রাইভের রাস্তায় এদিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে জুতো, চপ্পলও পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ অর্থাৎ এর থেকেই বোঝা সম্ভব, ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে উন্মাদনা ছিল চরমে ৷
এক প্রত্যক্ষদর্শী রবি সোলাঙ্কি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানান পুলিশ সেভাবে এত জনতাকে আটকাতে পারছিল না ৷ রাত ৮টার পর ভিড় আরও তীব্র আকার নেয় ৷ প্রথমে সবাই জানতেন যে বিকেল ৫-৬টার মধ্যেই ভারতীয় দল সেখানে আসবে ৷ কিন্তু সেটা হয়নি ৷ তাই রোহিতদের দেখার জন্য হাজার হাজার সমর্থকদের আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় ৷