রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নেপালকে ১ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপে 'ডি' গ্রুপের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ রানে হেরেছে নেপাল। জয়েড আশা জাগিয়েও পারেনি নেপাল। আগে ব্যাট করতে নেমে রিজা হেনড্রিকসের ৪৩ ও শেষদিকে ত্রিস্টান স্টাবসের ক্যামিওতে সাত উইকেটে ১১৫ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে আসিফ শেখের ৪৯, অনিল শাহদের(২৭) ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি নেপাল। মাত্র এক রানের জয় পায় প্রোটিয়ারা।
সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেপাল। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পেলেও এই ম্যাচে খেলেছেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে।চার ওভার বল করলেও উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। প্রোটিয়াদের শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও কুইন্টন ডি কককে বেশিদূর যেতে দেননি দীপেন্দ্র সিং আইরে। দলীয় ২২ রানে ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন ডি কক। এরপর হেনড্রিকসকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন মার্করাম।২২ বলে ১৫ রান করে কুশলের শিকার হন মার্করাম।
এরপর অল্পতেই ফিরেছেন হেনরিখ ক্লাসেন। ফিরে যান হেনড্রিকসও। দীপেন্দ্র সিং আইরের শিকার হওয়ার আগে ৪৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় হয়নি ডেভিড মিলারেরও।
শেষ দিকে একাই প্রোটিয়াদের ইনিংসকে টেনেছেন ত্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় সাত উইকেটে ১১৫ রান। চার উইকেট শিকার করেন কুশল ভুরতেল, তিন উইকেট শিকার করেন দীপেন্দ্র সিং আইরে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় নেপাল। দুই ওপেনার আসিফ শেখ ও কুশল ভুরতেলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৫ রান। একটি করে চার ও ছক্কায় কুশল করেন ২১ বলে ১৩ রান। ওই ওভারেই শামসির দ্বিতীয় শিকার হয়ে কোন রান না করেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত পাওডেল।
এরপর অনিল শাহ এর সাথে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন আসিফ শেখ। ছয় ওভার স্হায়ী জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় নেপাল। আনরিখ নর্কিয়ার করা ইনিংসের ১১তম ওভারে ১২ রান তোলেন দুই ব্যাটার। কাগিসো রাবাদার করা ১৩তম ওভারে আসে ১৩ রান। দলীয় ৮৫ রানে এইডেন মার্করামের শিকার হন অনিল শাহ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে ২৪ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় আসে ২৭ রান।
এরপর মার্করাম, ইয়ানসেনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে নেপাল। শামসির তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন দীপেন্দ্র সিং আইরে। তিনি করেন ১১ বলে ৬ রান। একইওভারে আসিফ শেখকে বোল্ড নিজের চতুর্থ উইকেটের দেখা পান তাব্রেইজ শামসি। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করেন আসিফ।
শেষ দুই ওভারে ১৬ রানের সমীকরণ ছিল নেপালের সামনে। ১৯তম ওভারে দ্বিতীয় বলে নর্কিয়া শিকার হন কুশল মাল্লা। ওই ওভারেই নর্কিয়াকে ১০৫ মিটারের বিশাল ছক্কা হাঁকান সোমপাল। আট রান আসে ১৯তম ওভারে। শেষ ওভারে নেপালের প্রয়োজন ছিল ৮ রান।
শেষ ওভার বল করতে আসেন ওটনিল বার্টম্যান। প্রথম দুই বল ডট দিলেও তৃতীয় বলেই চার হাঁকান গুলশান ঝা। পরের বলে দুই রান নেন গুলশান। পঞ্চম বলে কোন রান নিতে পারেনি নেপাল। ফলে শেষ বলে প্রয়োজন ছিল দুই রানের। কিন্তু বাইরান নিতে গিয়ে রানআউট হন গুলশান। এক রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন তাব্রেইজ শামসি। এই হারে সুপার এইটের আশা কার্যত শেষ নেপালের।