সুপার এইটে উঠতে যে সমীকরণের মুখে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশকে অনেকে সুপার এইটের হিসাবেই রাখেননি। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের ফর্ম এবং বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারে বাংলাদেশকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা।
তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে চোখের পলকেই নিজেদের নিয়ে এসেছে সুপার এইটের হিসাবে।
গ্রুপ ডি’তে টাইগারদের সামনে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। এই দুই ম্যাচে জয়ের ধারায় থাকলে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারানোর পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪ রানে হেরেছে টাইগাররা। তাই এখনও সুপার এইটের দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। অন্যদিকে টানা তিন জয়ে এই গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি একটি জায়গার জন্য গ্রুপের অন্য দলগুলো লড়াই করবে। এই দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই ঠিক আছে বাংলাদেশ ও ডাচরা।
শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচে প্রোটিয়ারা জয়ী হওয়ায় এবং এই দুই দলের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ায় গ্রুপ পর্বে বাকি দুই ম্যাচে নেপাল ও নেদারল্যান্ডসকে হারালেই সরাসরি সুপার এইটে যাবে টাইগাররা। তবে যেকোনো একটি ম্যাচে হারলেই যদি কিন্তুর সমীকরণে নির্ভর করতে হবে শান্ত-সাকিবদের।
বাংলাদেশ নিজেদের যেকোনো একটি ম্যাচে যদি হেরে যায় এবং শ্রীলঙ্কা নিজেদের বাকি দুই ম্যাচেই জিতে যায়, তাহলে নেট রানরেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। সেদিক থেকেও অবশ্য বেশ ভালো অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ।
অবশ্য এরকম কোনো সমীকরণের মারপ্যাঁচে পড়তে চাইবে না চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের দল। শেষ দু'টি ম্যাচ জয় দিয়ে গ্রুপ-ডি'র দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে জায়গা নিশ্চিত করতে চাইবে টাইগাররা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ১৩ জুন কিংসটনের আরনস ভেল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে এই ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ার দল নেপাল। ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৫টায় একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ।