রোনালদোর রেকর্ড গড়ার ম্যাচে পর্তুগালের দুর্দান্ত জয়
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত
কী ক্লাব ফুটবল, কী জাতীয় দল! বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়েই চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে শেষ প্রস্তুতিপর্বে প্রথমবার মাঠে নেমেই জোড়া গোল করলেন তিনি। আর তাতেই অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন তিনি। পাশাপাশি রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দাপুটে জয়ে ইউরোর প্রস্তুতি সারল পর্তুগিজরা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে প্রীতি ম্যাচে দেশের মাটিতে ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা জোয়াও ফেলিক্সের গোলে এগিয়ে যায়। এরপর জোড়া গোল করেন রোনালদো।
রোনালদোর রেকর্ডটি হয়ে যায় প্রথম গোলেই। যেখানে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে টানা ২১ পঞ্জিকাবর্ষে গোলের কীর্তি গড়লেন তিনি। পর্তুগাল মূল দলের হয়ে তার অভিষেক ২০০৩ সালে, পরের বছর পান প্রথম গোলের দেখা, সেই থেকে গোল করেছেন প্রতি বছর।
এর আগে গত সপ্তাহে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয়ের ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন না রোনালদো, পরে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের ম্যাচে দলে থাকলেও পুরোটা সময় তিনি কাটান বেঞ্চে বসে। মূল প্রতিযোগিতা শুরুর দুই দিন আগে, শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন ৩৯ বছর বয়সী তারকা।
এদিন ১৮তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। ডান দিক থেকে ব্রুনো ফের্নান্দেসের পাস বক্সে পেয়ে জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি শট নেন ফেলিক্স, সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় বল।
বিরতির পর ৫০তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। মাঝমাঠ থেকে রুবেন নেভেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে দারুণ এক ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, একজনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান তিনি।
১০ মিনিট পর আরেকটি দারুণ গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রোনালদো। বাঁ দিক থেকে দিয়োগো জটার পাস বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
সৌদি ক্লাব আল নাসরের হয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৪৪ গোল করা রোনালদো এই বছর দেশের হয়ে প্রথম জালের দেখা পেলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড অনেক আগে থেকেই তার, সংখ্যাটা বেড়ে হলো ১৩০। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রেয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুসের সাবেক তারকার ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মোট গোল হলো ৮৯৫টি।
জার্মানিতে আগামী শুক্রবার পর্দা উঠবে এবারের ইউরোর। ১৯ জুন চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করবে পর্তুগাল। ‘ডি’ তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ তুরস্ক ও জর্জিয়া।