বাংলাদেশের সামনে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা, কি বলছে পরিসংখ্যান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সামনে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: সংগৃহীত
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এবার টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো। এই ম্যাচ জিততে পারলেই সুপার এইটের পথ অনেকটাই সহজ হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জন্য।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ সোমবার (১০ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় সুপার এইটের দৌড়ে এগিয়ে যেতে এ ম্যাচেও জয় চাই নাজমুল শান্তর দল। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যটাও অভিন্ন নয়। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করতে চায় তারা। কিন্তু কি বলছে এই দুই দলের পরিসংখ্যান।
পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ রাখলে অবশ্য বেশ হতাশই হতে হবে বাংলাদেশি সমর্থকদের। কেননা, ২০০৭ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলার পর এই সময়ে মোট ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও যে কোনো ম্যাচেই জয় পায়নি বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সবচেয়ে কম ১২ রানের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
এরপর সেই ব্যবধানটা কেবলই বেড়েছেই। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাই এ ম্যাচে জয় পাওয়া বেশ কঠিনই বলা চলে শান্তর দলের জন্য।
তাছাড়া নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতাতেও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপপর্বের প্রথম দুটি ম্যাচও তারা খেলেছে এই মাঠেই। যেখানে দুটিতেই জয় পেয়েছে তারা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এই মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেনি। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের বিপক্ষে এ মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশের। যদিও সেই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। তাই ম্যাচটি বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের জন্য।
বাংলাদেশ দল অবশ্য আশা রাখছে সবশেষ ম্যাচে জয়ের কারণেই। কেননা, শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দলের ক্রিকেটারদের। তাছাড়া এই মাঠের উইকেটের সঙ্গে অনেকটাই মিল আছে টাইগারদের হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুরের উইকেটের। কাজেই মিরপুরে নিয়মিত লো স্কোরিং ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও সাহস যোগাবে টাইগার বাহিনীকে।