উগান্ডাকে বিধ্বস্ত করে আফগানদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু
ছবি: সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তারকা ঠাসা আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি উগান্ডা। পূর্ব আফ্রিকার দেশটি প্রথমবার বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলতে নেমে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়েছে। মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে ১২৫ রানের বড় পরাজয় দেখল আফ্রিকার এ দলটি। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ বৃহত্তম জয় দিয়ে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের অভিযান শুরু করলো আফগানরা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) গায়ানায় প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ করে রশিদ খানের দল। জবাবে ফজল-হক-ফারুকির আগুনে বোলিংয়ে ২৪ বল বাকি থাকতেই ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় বিশ্বমঞ্চে নবাগত দলটি।
রান তাড়ায় নেমে আফগান বোলারদের তোপের মুখে ২০ রানের আগেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে উগান্ডা। নিজের প্রথম ওভারেই রোনাক প্যাটেল (৪) ও রজার মুকাসাকে (০) প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ফজল হক ফারুকি। পরের ওভারে সিমন সেসাজিকে (৪) ফেরান মুজিব।
পঞ্চম ওভারে বিশ্বমঞ্চে অভিষিক্ত দলটিতে জোড়া ধাক্কা দেন নাভিন-উল-হক। দীনেশ নাকরানিকে (৬) এবং রানের খাতা খোলার আগেই আলকেশ রমজানি সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
১৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর রবিনসন অভুয়া ও রিয়াজাত আলি শাহ’র ব্যাটে লজ্জা এড়ানোর লড়াইয়ে মাতে উগান্ডা। এরপর ইনিংসের ১৩তম ওভারে আক্রমণে এসে রিয়াজাতকে ফেরান ফারুকি। একই ওভারে অভুয়া (১৪) ও মাসাবাকে (০) ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারের দেখা পান ফারুকি। শেষ দুটি উইকেট নিজের ঝুলিতে নিয়ে উগান্ডাকে ৫৮ রানেই গুটিয়ে দেন রশিদ খান।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান গুরবাজ। তার সঙ্গে যোগ দেন জাদরানও। চার-ছক্কা ফুলঝুরিতে রীতিমত মেলা বসান এই দুই ওপেনার। তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৬৬ রান তুলে ফেলে আফগানিস্তান।
এরপর ইনিংসের নবম ওভারেই ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ। ৪ ছক্কা আর ২ চারে ২৮ বলেই অর্ধশতকে পৌঁছে যান এই ওপেনার। অন্যপ্রান্তে ৮ চারে ৩৪ বল খেলে ফিফটি তুলে নেন জাদরান।
তবে এই জুটি ভাঙার পরই রানের চাকা ধীরগতির হয়ে যায় আফগানদের। উগান্ডাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন অধিনায়ক মাসাবা। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় ৪৬ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন জাদরান। ফেরার আগে বিশ্বমঞ্চে আফগানদের হয়ে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন তারা।
পরের ওভারেই ফেরেন গুরবাজ। রমজানির বলে ডিপ-স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ৭৬ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর আফগানিস্তানের কোনো ব্যাটারই কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারেননি। উগান্ডার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৮৩ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।