পাপনকে নিজের স্বাক্ষর করা জার্সি পাঠালেন বিশ্বকাপজয়ী ডি মারিয়া
ছবি সংগৃহিত
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনকে নিজের সই করা জার্সি উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার আনহেল দি মারিয়া। আজ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে সেই সই করা জার্সি পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত।
গত বছরের জুলাই মাসেই কলকাতা সফরে এসছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের তারকা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ফুটবল প্রেমিদের ভালোবাসায় আপ্লুত হয়েছিলেন মেসির প্রিয় দিবু। স্বল্প সময়ের এই সফরে মার্টিনেজ বাংলাদেশে এসেছিলে ১১ ঘন্টার জন্য। ফলে হাজার-হাজার ভক্তরা সামনে থেকে দেখার সুযোগই পাননি বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষককে।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মেসির আরও এক সতীর্থ আসতে চলেছেন বাংলাদেশে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের শেষের দিকে দেড় দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন ডি-মারিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। এবারও তাকে আনছেন কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। জানা যায়, শতদ্রু দত্ত নিজেই এবার আর্জেন্টিনা গিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছেন।
এদিকে বাংলাদেশে ডি মারিয়া আসার আগে তার সঙ্গে দেখা করতে যান শতদ্রু দত্ত। সে সময় বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী পাপনের জন্য বিশ্বকাপজয়ী মারিয়ার অটোগ্রাফযুক্ত জার্সিও নিয়ে এসেছেন তিনি। এমনটায় জানা যায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে।
জানা যায়, এখন শুধু পাপনের হাতে তা তুলে দেওয়ার অপেক্ষা। শতদ্রু বলেন,‘ডি মারিয়ার অটোগ্রাফ যুক্ত জার্সি পাপন সাহেবের হাতে তুলে দেবো। এর জন্য তার সময় চেয়েছি। তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী তাই তার জন্য এটা আনা। আমি মার্চের শুরুতে তিন দিন ঢাকায় থাকবো। তখনই তার হাতে তুলে দিতে পারবো বলে আশা করছি।’
পাপন ছাড়াও আর কার জন্য দি মারিয়া জার্সি পাঠালেন, সেটিও বললেন শতদ্রু, ‘শেখ তন্ময়ের জন্য এনেছি। প্রধানমন্ত্রীকে উনি নিজে এসে হাতে সই করে দেবেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামালের (ভূঁইয়া) জন্যও দিয়েছেন।’
‘তাছাড়া ডি মারিয়া মে মাসের শেষে ভারত ও বাংলাদেশে আসবে। স্পন্সরও তৈরি বলতে পারেন। ঢাকায় এসে এবার ৯০ ভাগ অনুষ্ঠান স্টেডিয়াম কেন্দ্রিক হবে। মার্তিনেজ ও রোনালদিনহো ঢাকায় এলেও বেশিক্ষণ ছিলেন না। তবে এবার দি মারিয়া দেড় দিন থাকবেন জানালেন শতদ্রু। অনেক কিছুই করব। প্রেস কনফারেন্স করব।’এদিকে জানা যায় মে মাসের শেষে নির্দিষ্ট তারিখটা শিগগিরই ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার এই সংগঠক।