বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের জুনে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপরই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে হবে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৯ম আসর। এই মেগা আসরের আগে বাংলাদেশ সফর করবে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল।
এই সফরটি আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচির (এফটিপি) অংশ হলেও বিশ্বকাপের কারণে অজি মেয়েদের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দু’দল। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচির (এফটিপি) অংশ হিসেবে মার্চের শেষে বাংলাদেশ সফর করবে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ভারতে মেয়েদের আইপিএল শেষে টিম টাইগ্রেসদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অজিরা।
এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কন্ডিশন, উইকেট নিয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে চায় অস্ট্রেলিয়া। আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেবে রের্কড ৬বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নারী উইংয়ের প্রধান নির্বাচক শন ফ্লেগলার।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ সফর করবে অস্ট্রেলিয়া। সেদেশের কন্ডিশন, উইকেট সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে চায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে এই সিরিজের চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি।
অবশ্য এবারই প্রথম নয় অস্ট্রেলিয়ার নারীদের বাংলাদেশ সফর। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে সবশেষ ঢাকায় আসে অজিরা। তবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে প্রথমবার টাইগ্রেসদের বিপক্ষে খেলবে মেগ ল্যানিং-এলিশা পেরীরা। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ বছর পর আবারও বাংলাদেশ সফর করবে অস্ট্রেলিয়া নারী দল।
অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক শন ফ্লেগার বলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কয়েকটি ভেন্যুতে আমাদের খেলা রয়েছে। সেসব মাঠ সম্পর্কে গবেষণা ও ধারণা নিতেই সেখানে খেলতে যাচ্ছি। উইকেট কীভাবে কাজ করে সেটিও আমরা দেখব।
যেহেতু বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপে তাই স্পিন বিভাগে বিশেষ নজর দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। চলতি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অ্যাশলি গার্ডনার, জর্জিয়া ওয়েরহ্যাম ও জেস জোনাসেনকে দলে রেখেছে তারা। এছাড়া দলের স্পিন গভীরতা বাড়িয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনেক্স।
বাংলাদেশ সফরে তিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার পর বিশ্বকাপের আগে আর কোনো সিরিজ নেই অস্ট্রেলিয়ার। তবে এই ফাঁকে অতিরিক্ত কিছু ম্যাচ আয়োজনে আশাবাদী ফ্লেগ্লার। বাংলাদেশেরও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত কোনো সিরিজ নেই।