বৃৃষ্টিতে সাকিবের দুরন্তপনা
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় দিন ছিল বৃষ্টির লোকুচুরি খেলা। ঘূর্ণিঝড় ‘ জাওয়াদ’র কারণে সকাল থেকেই আম্পায়াররা দফায় দাফায় চেষ্টা করেছেন খেলা শুরু করার। কিন্তু বৃষ্টির লোকুচুরি খেলার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কখনো থেমেছে, আবার শুরু হয়েছে। থামার পর আম্পায়ার হয়তো ঠিক করলেন যাই এবার মাঠ পরিদর্শর করে এসে খেলা শুরু করার সময় নির্ধারন করি। কিন্তু তখনই বেরসিক বৃষ্টি এসে আবার সে পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। এভাবে এক পর্যায়ে বেলা ১২ টা ৫০ মিনিটে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু তা ক্ষনিকের জন্য। মাত্র ৬.২ ওভার খেলা হওয়ার পর আবার বৃষ্টি শুরু হলে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। বৃষ্টির গতিবেগ বেশি থাকায় আম্পায়াররা বেলা ৩ টা ২ মিনিটে দিনের খেলার যবনিকা টানেন। কিন্তু দিনভর লম্বা এ সময়ে কতোক্ষন আর একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ হয়ে থাকা যায়। তাই ক্রিকেটাররা অলস সময় পার করে অনুশীলনে মনোনিবেশ করেন। মিরপুরের ইনডোরে তারা বেশ কিছু সময় ব্যাটিং-বোলিংয় অনুশীলন করেন। যেখানে সেরা একাদশের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দলের অন্যরাও ছিলেন। কিন্তু এরই মাঝে সাকিবের মাঝে দেখ যায় দুরন্তপনা। ভেজা মাঠ। পিচের উপর বিছানো কভারে জমে থাকা পানিতে তিনি জলকেলিতে ।
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে শেরে বাংলায় পানি জমে থাকেই না। কিন্তু পিচসহ ৩০ গজের বৃত্ত ঢাকা থাকা। সেখানে বৃষ্টির পানি কিছু জমে থাকে। তবে তা পিচে প্রবেশ করে না। ইনডোর থেকে অনুশীলন শেষে ফিরে আসার সময় সাকিব করেন এই দুরন্তপনা। পিচের কাছে এসেই তিনি দু’হাত সামনে দিয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো ¯øাইড করে শরীর ঠেলে দেন। জমে থাকা পানিতে তিনি কয়েকগজ সামনে চলে যান। মনে হবে তিনি পানিতে ঝাঁপ দিয়ে ডুব দিয়ে উঠে এসেছেন। ভিজে যায় তার শরীর। এ সময় মুখে ছিল তার অন্য রকম তৃপ্তির হাসি মাখানো। তার এ হাসি দেখে মনে হবে পরম শান্তি পেয়েছেন। ফিরে গেছেন শৈশবে। যেখানে এ রকম বৃষ্টিতে কতো ভিজেছেন। পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন। সময়ের পরিক্রমায় এখন আর বৃষ্টি আসলেও সে রকম উল্লাস করার উপায় থাকে না। কিন্তু আজ সাকিব নিজেকে সেই শৈশবেই ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার এমন কান্ডে মাঠে উপস্থিত গুটি কয়েক মানুষকে বেশ আনন্দ দিয়েছে। বলা যায় বৃষ্টির ম্যাড় ম্যাড়ে দিনে সাকিব দিয়েছেন উনন্দের খোরাক। স্বতীর্থরাও অবাক হয়েছেন সাকিবের এমন দুরন্তপনা দেখে। তবে তার দেখাদেখি আর কেউ অবশ্য এ রকমটি করেননি।