সেঞ্চুরি করে স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন সৌম্য
ছবি: সংগৃহীত
২০১৫ সালে একা হাতে সিরিজ জেতানো সৌম্য সরকারকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিলো আকাশ সমান। কিন্তু এই চড়া প্রত্যাশার ভার বেশি দিন নিতে পারেননি তিনি। ধিরে ধিরে এক সময় বিবর্ণ হয়ে যান সৌম্য। দলে নিয়মিত থাকার বদলে আসা-যাওয়ার চক্রে ঘুরতে থাকে তার ক্যারিয়ার। জাতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যাটে রান খরায় ধেয়ে আসে তুমুল ট্রল, সমালোচনা।
বারবার দুয়ারে আসা সুযোগ দূরে ঠেলছিলেন সৌম্য সরকার। কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসে খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে।
এ ম্যাচে শুধু সেঞ্চুরিই করেননি, এশিয়ার কোনো ক্রিকেটার হিসেবে নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান এখন সৌম্যর। ২২ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ১৫১ বলে ১৬৯ রান করেছেন তিনি। যদিও শেষ অবধি জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করে সৌম্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পরিবার ও স্ত্রীকে।
বুধবার নেলসনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সবকিছুর আগে আমি ধন্যবাদ দেবো আমার পরিবারকে, আমার স্ত্রীকে। সবকিছুতে সমর্থন করার জন্য। আমার সতীর্থরা তো আছেই। যতটুকু অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছি, ব্যাটিং করছি; সেও অনেক সমর্থন করেছে। ’
‘যে ইতিবাচক কথা বলে আমি তার সঙ্গেই থাকি। ভালো-খারাপ ক্রিকেটে থাকবেই। কিন্তু খারাপ খেললে তো ক্রিকেট ছেড়ে চলে যেতে পারব না। যেহেতু আমি ক্রিকেট প্লেয়ার। ক্রিকেটের জন্যই এতদূর আসা। পরিশ্রম করছি ক্রিকেটের জন্যই। সুতরাং ক্রিকেট নিয়েই বেশি চিন্তা। ’
সৌম্যর খারাপ সময়টুকু বেশ লম্বাই হয়ে গিয়েছিল। শেষ পাঁচ ইনিংসের তিনটিতেই ডাক মেরেছেন তিনি। শূন্য রানে ফিরেছেন শেষ দুই ইনিংসে। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখার পর সৌম্য বলেছেন বাস্তবতার কথা। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে ওঠা-নামা থাকবে এই উপলব্ধি আগেই এসেছে তার।
সৌম্য বলেন, ‘ক্রিকেট খেলোয়াড় প্রতিদিন ভালো খেলবে না। আপনি যেমন একটা মানুষ প্রতিদিন ভালো খাবার আশা করবেন না, আমরাও প্রতিদিন ভালো খেলব আশা করি না। আমরা ক্রিকেটাররা হাসার চাইতে বেশি কাঁদি। কেননা কেউ পুরো একটা সিরিজ খেললে ১-২টা ম্যাচ ভালো খেলে। তার খারাপই যায়। ’
‘ওটা নিয়ে আমরা পড়ে থাকলে আমরা নিজেরাই পিছিয়ে যাবো। সুতরাং যতটুকই ইতিবাচক সেটা নিয়ে চিন্তা করা হয় বেশি। কীভাবে সামনে আরও ভালো করা যায় সেখানেই ফোকাস থাকে। এর মধ্যে যতটুকু পারফেকশান আমরা করতে পারি, সেটা নিয়েই ম্যাচে যাওয়ার চিন্তা করি। ’