প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির মাস সেরা খেলোয়াড় হলেন নাহিদা
ছবি সংগৃহিত
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারই পেয়েছেন নাহিদা আক্তার। ২০২৩ এর নভেম্বরের মাস সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরার পুরস্কার জিতেছেন নাহিদা।
মনোনয়ন পেয়েছিলেন গত মাসেও, কিন্তু সেবার জিততে পারেননি। তবে এবার ঠিকই জিতে নিলেন পুরস্কার।
নভেম্বর মাসে আইসিসি সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে পুরস্কারটি নিজের করে নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। শুধু তা-ই নয়, এই পুরস্কার জেতা বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার তিনি।
নভেম্বরে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল। সেই ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নিয়ে নাহিদা হয়েছিলেন সিরিজসেরা। সেই সিরিজে ৩.৪৩ ইকোনমিতে বোলিং করেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার। শেষ ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৩ মেইডেন দিয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তাতে নভেম্বরে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলারও হয়ে যান তিনি। মাসসেরার পুরস্কার জয়ী নাহিদা বলেন, ‘এই মুহূর্ত মনে রাখার মতো। এমন বিখ্যাত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের থেকে স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই দারুণ কিছু। আইসিসির মাসসেরা নারী ক্রিকেটার আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণার উৎস।’ সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছি এবং দল হিসেবে যে সাফল্যের স্বাদ আমরা পেয়েছি তাতে অবদান রাখতে পেরে আমরা খুবই খুশি। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য ও মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চাপের মুহূর্তে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে দেওয়ার জন্য অবশ্যই আমার কোচ, অধিনায়ক ও সতীর্থদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। '
পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে নাহিদার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরেক বাংলাদেশি ফারজানা হক পিংকি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ১১০ রান করেন তিনি। শেষ ম্যাচে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে জেতান দলকে। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৪০ রান। পাকিস্তান সিরিজ না জিতলেও বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন দলটির সাদিয়া ইকবাল। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেন ২ উইকেট। তিন ম্যাচে ১২.৫০ গড় ও ওভারপ্রতি ২.৫৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৬ উইকেট। ফারজানার মতো তিনিও প্রথমবার মাসসেরার মনোনয়ন পেলেও হেরে যান নাহিদার কাছে।