মারাকানার সংঘাত নিয়ে যা বললেন নেইমার
মারাকানার সংঘাত নিয়ে যা বললেন নেইমার। ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিট নিশ্চিত করতে মারাকানার মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। যেখানে নতুন করে আবারও দেখা মেলে লাতিন আমেরিকার এ দুই দেশের লড়াইয়ের। খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয় দুই দলের সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতি। সংঘাত থামাতে গ্যালারিতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় ব্রাজিলের পুলিশ।
নান্দনিক ফুটবলের চাইতে ফাউল এবং মাঠের বাইরের লড়াইয়ের কারণেই বেশি আলোচিত হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১-০ জয় পেলেও একটা দুশ্চিন্তা থেকেই গেছে। বছরের শেষ খেলায় চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এদিকে এই ম্যাচের উত্তাপ নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার জুনিয়র।
গত অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে গিয়ে এসিএল ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এজন্য সুপার ক্লাসিকোর ম্যাচটা খেলা হয়নি ব্রাজিলের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মেজাজ হারানোর ম্যাচ নিয়ে চুপ থাকেননি নেইমার। তার দাবি, মঙ্গলবার ম্যাচটি খেললে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতেন। তাকেও অনেক বেশি আঘাত সইতে হতো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে নেইমার লিখেছেন, ‘ভালো খেলা, ক্লাসিক। উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচ। আমি এই ম্যাচে আরও অনেক আঘাত পেতাম। কিন্তু আমি হয়তো তালগোল পাকিয়ে ফেলতাম।’
চোটের কারণে লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দ্বৈরথে খেলা হয়নি নেইমারের। ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা আবহ সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট যেন একটু শান্ত করার চেষ্টা করলেন তিনি। ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ আমাদের বাড়িতে হল্লা তৈরি করে। আরে চলো, চলো! আবহটা উঞ্চ করতে কাউকে না কাউকে তো কিছু একটা করতে হবে!’
অন্যদিকে, গ্যালারিতে মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এক বিবৃতিতে সিবিএফ বলছে, ‘এটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার যে ম্যাচ আয়োজন ও পরিকল্পনার অত্যন্ত সতর্কতা এবং কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল সিবিএফ। মাঠে থাকা দুই দলের প্রতিনিধি সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, এমনকি রিও ডি জেনেইরোর সামরিক পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পুরো ম্যাচের আয়োজন—বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিক রাখতে আমরা প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সভায় নির্ধারণ করেছিলাম।’