বিশ্বকাপে ভরাডুবি: যে তথ্য ফাঁস করলেন শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক
এবার মুখ খুলেছেন প্রধান নির্বাচক প্রমোদ্য বিক্রমাসিংহে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর টালমাটাল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। এর মধ্যে আইসিসি থেকে সদস্য পদও হারিয়েছে এসএলসি। এবার বোমা ফাটিয়েছেন প্রধান নির্বাচক প্রমোদ্য বিক্রমাসিংহে। ঝড়ের ইঙ্গিত ভারত থেকে ফিরে বিমানবন্দরে দিয়েছিলেন বিক্রমাসিংহে।
দুই দিন পর আজ পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে বিশ্বকাপের আগে ঘটে যাওয়া অনেক তথ্যই ফাঁস করেছেন বিক্রমাসিংহে। বিক্রমাসিংহের বিবৃতি স্বাভাবিকভাবে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমে বেশ ফলাও করে প্রকাশ পেয়েছে। বিবৃতিতে বিক্রমাসিংহে বিশ্বকাপে লঙ্কানদের ভরাডুবির কারণ হিসেবে দাবি করেছেন দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ষড়যন্ত্রকে।
তার মতে, ‘আমি বিশ্বাস করি, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের বর্তমান দুর্দশা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে চলতে থাকা বহুমুখী ষড়যন্ত্রের ফল। শ্রীলঙ্কার ওপর (আইসিসির) আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও একই প্রক্রিয়ার ফল। এসব ষড়যন্ত্রের পেছনে ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত। এরা সমাজে বেশ দক্ষতার সঙ্গে এমন ভান করছে যেন তারাই ক্রিকেট বাঁচাতে চাইছে। আসলে এরা তথ্য পাচার করে সমাজকে বিভ্রান্ত করছে।’
বিক্রমাসিংহে বিবৃতিতে আরো দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁরা নির্বাচক কমিটিকে দুর্বল করতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা এসএলসির নির্বাচক কমিটিকে দুর্বল করতে নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল। তাদের এই কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচক কমিটির পেশাদারত্বের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করা।’ তবে গত আড়াই বছর নিজের দায়িত্ব স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করেছেন বলে দাবি বিক্রমাসিংহের।
দল নির্বাচনে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দুর্বল নীতির দিকেও আঙুল তুলেছেন বিক্রমাসিংহে। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পেসার দুশমন্থ চামিরাকে তিনি স্কোয়াডে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে এ ক্ষেত্রে আপত্তি জানান। পরে অবশ্য লাহিরু কুমারার জায়গায় চামিরা যুক্ত হলেও কপাল খোলেনি হাসারাঙ্গার।