বৃষ্টির শঙ্কায় দ্বিতীয় ওয়ানডেও
এটি অনেক পুরোনো বিষয় বৃষ্টি ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু। এই বৃষ্টি কাউকে হাসায় আবার কাউকে কাঁদায়। এই যেমন বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। সিরিজ শুরু হওয়ার অনেক আগেই বাংলাদেশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। কিন্তু আয়ারল্যান্ড তা পারেনি। তাদের শেষ ভরসা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ। ৩-০ ব্যবধানে জিততে পারলেই কেবল তা সম্ভব!
এই সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখতে আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড বৃষ্টির সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে নিজেদের দেশে ম্যাচ আয়োজন না করে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। কারণ বৃষ্টি প্রথম ম্যাচের ফলাফল হতে দেয়নি। ম্যাচটি হয় পরিত্যক্ত। ফলে ভেস্তে যায় আইরিশদের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। এখন তাদের বাছাইপর্ব খেলে আসতে হবে।
এই বৃষ্টি যখন আইরিশদের জন্য কান্না হয়ে এসেছে, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আনন্দের বার্তা। কারণ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়াতে তারা সরাসরি খেলার সুযোগ পায়।
আইরিশদের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন আপতত ভেস্তে যাওয়ার পরও কিন্তু বৃষ্টি নিয়ে সিরিজে শঙ্কা শেষ হয়ে যায়নি। ১২ মে শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও আছে বৃষ্টির চোখ রাঙানি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৭টা থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা জানান দিচ্ছে। চলবে বিকেল ৭টায় পর্যন্ত। যদি এই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয় তাহলে দ্বিতীয় ম্যাচও বৃষ্টির পেটে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি!
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দল চেমসফোর্ডে বৃষ্টির মাঝেই করেছে অনুশীলন।
প্রথম ম্যাচে আবাহাওয়ার যে পূর্বাভাস ছিল তা দিনের শুরুতে কার্যকর হতে দেখা না গেলেও পরে ঠিকই কার্যকর হয়েছিল। বাংলাদেশ তাদের ইনিংস নির্বিঘ্নে শেষ করতে পেরেছিল ৯ উইকেটে ২৪৬ রান করে। আয়ারল্যান্ড তাদের ইনিংস শুরু করার পর ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ রান করার পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে পরে আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত অবশ্য বৃষ্টির মাঝেও খেলা হয়েছিল। বাইলজ অনুযায়ী উভয় ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার খেলা না হওয়াতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও চেমসফোর্ডের ৬ হাজার ৫০০ আসন বিশিষ্ট গ্যালারি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে সরব হয়ে উঠেছিল। উৎসবমুখর পরিবেশে মাঠে প্রবেশ করে তারা মাঠ ছেড়েছিল হতাশায়!
এমপি/এসএন