শেখ জামালের জয়ে শেষ রাউন্ডে শিরোপার নিষ্পত্তি
শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের জয়ের বিকল্প ছিল না। প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী মাশরাফির লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সেই কাজটি শেখ জামাল বেশ ভালোভাবেই করেছে।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমনা আলী স্টেডিয়াতে তারা পাত্তাই দেয়নি রূপগঞ্জেকে। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে শেখ জামাল জয়ী হয় ৫৯ রানে। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৬। এই রাউন্ডে আবাহনী হেরে যাওয়াতে তাদেরও পয়েন্ট ২৬।
প্রথম পর্বে দুই দলের মুখোমুখি খেলাতে শেখ জামাল জয়ী হওয়াতে হেড টু হেডে শেখ জামাল আবার শীর্ষ স্থান ফিরে পেয়েছে। এই শীর্ষ স্থান তারা হারিয়েছে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে গাজী গ্রুপের কাছে হেরে যাওয়াতে। এখন ১৩ মে শেষ রাউন্ডে শেখ জামাল ও আবাহনীর ম্যাচেই নিষ্পত্তি হবে শিরোপা।
ম্যাচ সেরা সৈকত আলীর সেঞ্চুরির সঙ্গে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, জিয়াউর রহমান ও পারভেজ রাসুলের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৫০ রান করে। জবাব দিতে নেমে রূপগঞ্জ ইরফান শুক্কুরের সেঞ্চুরিতেও লড়াই করতে পারেনি। ৭ উইকেটে করে ২৫৫ রান। বৃষ্টি আইনে রূপগঞ্জের সামনে টার্গেট ছিল ৩১৫ রানের।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শেখ জামালের ইনিংস গড়ে উঠে সৈকত আলী, নুরুল হাসান সোহান, জিয়াউর রহমান ও পারভেজ রাসুলের ব্যাটে। দলীয় ৪৬ রানের মাঝে ওপেনার সাইফ আলী (১৮) ও ওয়ান ডাউনে নামা ফজল মাহমুদের (০) উইকেট হারানোর পর দলের হয়ে রান বাড়ানোর কাজটি করেন এই চার ব্যাটসম্যান। ৮১ বলে ৫ ছক্কা ও দ্বিগুণ চারে ১০৮ রান করে নাঈম ইসলামের বলে সোহাগ গাজীর হাতে ধরা পড়েন বিদায় নেন।
নুরুল হাসান সোহান ২ ছক্কা ও ও দ্বিগুন চারে ৭৭ বলে ৬২ রান করে জাওয়াদ রোহানের বলে চেরাগ জানির হাতে ধার পড়েন। এই দুই জনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৫.৫ ওভারে ১১১ রান যোগ করেন। রবিউল ইসলাম ৫০ বলে ৫ চারে ৪২ রান করে আউট হওয়ার পর জিয়াউর রহমান ও পারভেজ রাসুল ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬.৩ ওভারে ৭৯ রান যোগ করেন।
এই জুটির রানই তাদের সংগ্রহকে রূপগঞ্জের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। জিয়াউর ৪২ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৪ ও পারভেজ রাসুল ২৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। চেরাগ জানি ৫২ ও জাওয়াদ রোহান ৭৪ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
বড় টার্গেটের পেছনে ছুটে রূপগঞ্জ কখনই জয়ের পেছনে ছুটতে পারেনি। পারভেজ হোসেন ইমন ৬৫ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৬৩ রান করে সাইফের বলে শফিকুলের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন।
ইরফান শুক্কুর ১১১ বলে ১১ চারে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি সেঞ্চুরির করার পরপরই আলোরে স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। সে সময় তাদের রান ছিল ৪৬.১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫। পরে ডকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে রূপগঞ্জের টার্গেট দেওয়া হয় ৩১৫ রানের। ফলে শেখ জামাল জয়ী হয় ৫৯ রানে। পারভেজ রাসুল ৩৬ রানে নেন ৩টি ও আরিফ আহমেদ ৫৮ রানে ২টি উইকেট নেন।
এমপি/এমএমএ/