রেকর্ডের ছড়াছড়ি নারী আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পর্দা উঠল নারী আইপিএলের। শনিবার (৪ মার্চ) রাতে উদ্বোধনী ম্যাচে গুজরাট জায়ান্টসকে ১৪৩ রানে উড়িয়ে দিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। নারী ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই হয়েছে রেকর্ডের ছড়াছড়ি।
৫ উইকেটে ২০৭ রান
গুজরাটের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান করেছে মুম্বাই। মেজর নারী টি-টোয়েন্টি লিগে এটা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০১৭ সালে মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪২ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল সিডনি সিক্সার্স। ২০২১ সালে ব্রিসবেন হিটের বিপক্ষে মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছিল ২০৭ রান।
১৪৩ রানের জয়
মুম্বাইয়ের ১৪৩ রানের জয় মেজর নারী লিগে রান ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে মাত্র দুবার ১০০ এর অধিক রানে জয় পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে : ২০২২ সালে পার্থ স্কর্চার্স রেনেগেডসকে হারিয়েছিল ১০৪ রানে এবং ২০১৭ সালে সিক্সার্স হোবার্ট হারিকেন্সের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ১০৩ রানে।
গুজরাট অলআউট ৬৪ রানে
বড় লক্ষ্য তাড়ায় স্রেফ উড়ে গেছে গুজরাট। অলআউট হয়েছে মাত্র ৬৪ রানে। নারী টি-টোয়েন্টি লিগে রান তাড়ায় এটা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৬ সালে ক্রিকেট সুপার লিগে সাউদার্ন ভাইপার্সের বিপক্ষে ইয়র্কশায়ার ডায়মন্ডসের ইনিংসও গুটিয়ে গিয়েছিল ৬৪ রানে। সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা ভেলোসিটির। ২০২০ টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে ট্রেইলব্লেজার্সের বিপক্ষে তারা অলআউট হয়েছিল ৪৭ রানে।
মাঝের ওভারে মুম্বাইয়ের কীর্তি
ইনিংসের সপ্তম থেকে ১৬তম ওভারে ১১৫ রান তুলেছে মুম্বাই। এই ওভারগুলোতে ১৯টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে তারা। পাওয়ার প্লেতে দলটি তেমন গর্জে উঠতে পারেনি। প্রথম ৬ ওভারে আসে মাত্র ৪৪ রান। ডেথ ওভারে (শেষ চার ওভারে) তারা তুলে ৪৮ রান। তাতেই ২০০ ছাড়িয়ে যায় মুম্বাইয়ের দলীয় সংগ্রহ।
বিধ্বংসী হারমানপ্রীত কৌর
নারী আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির কোটা ছুঁতে মাত্র ২২ বল লাগে হারমানপ্রীত কৌরের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার ৩৪ হাফসেঞ্চুরির মধ্যে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম। আগের রেকর্ডটি ছিল ২৩ বলে, ২০১৮ সালে হিটের বিপক্ষে সিডনি থান্ডারের জার্সিতে।
দুজনের জুটিতে ১৮টি চার
শনিবার রাতে আমেলিয়া কেরকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন হারমানপ্রীত। দুজনে মিলে ১১ থেকে ১৭তম ওভার পর্যন্ত ১৮টি চার হাঁকান। এই যুগল স্পিনারদের ৩০ বলে করেন ৫৭ রান এবং পেসারদের ১২ বলে বাউন্ডারি মারেন ৭টি।
টানা ৭ চার
উদ্বোধনী ম্যাচে টানা ৭ চার মারেন হারমনপ্রীত : ১৫তম ওভারে মনিকা প্যাটেলে বিপক্ষে ৪টি এবং ১৬তম ওভারে অ্যাশলেই গার্ডনারের বিপক্ষে ৩টি। টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৭ বলে ৩১ রান থেকে ২৪ বলে ৫৯ রানে পৌঁছে যান ভারতীয় এই হার্ডহিটার।
এসজি