হাসিনা ১৬ বছরে হাজার হাজার পরিবারকে উৎখাত করেছে। সে এক দিনে খুনি হাসিনা হয়নি। যাকে টার্গেট করেছে তাকেই মেরেছে সে। আগামীতে কাউকে এমন হতে দেব কি না, তা আমাদের ওপর নির্ভর করবে।
কেউ যদি ভুল পথে হাঁটে তাদেরও পরিণতি একই হবে। আমরা কাউকে ছাড়ব না, তাই বুক টান করে প্রতিবাদ করতে হবে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে খুনি হাসিনার মাধ্যমে নানাভাবে অত্যাচারিত হয়েছে এ দেশের মানুষ। তার ক্ষমতার পিপাসার কাছে জিম্মি ছিল মানুষ, গোপালগঞ্জের কাছেও জিম্মি হয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ। তাই প্রত্যেকটি মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাসিনা খুনির দোসররা মাদরাসার ছাত্রকে দেখলে টার্গেট করে গুলি করত।
তাই ছাত্ররা পাঞ্জাবি-পাজামা না পরে টি-শার্ট গায়ে দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। শুধু মাদরাসা নয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। যারা হাসিনার দোসরদের ভয়ে আন্দোলনে যেতে পারেনি তারা তাদের স্ত্রী-সন্তান এবং স্বজনদের আন্দোলনে যেতে সহযোগিতা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, আজকে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে, কারা করছে তাদের কথা কেন বলতে পারছি না। প্রতিটি বাজারে চাঁদাবাজি জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই।
সারজিস বলেন, ‘১৫ বছর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল মানুষ, এখনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সিন্ডিকেট চলছে। কিন্তু কেউ তাদের নাম নিচ্ছে না। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত, কেউ দেশের চিন্তা করছে না।’
আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে এ ছাড়া বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। এরপর শহীদ ১৫ জন পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে জাগরণী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।