নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াই চ্যাম্পিয়ন
নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল মানেই অস্ট্রেলিয়া। আর অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল খেলা মানেই শিরোপা তাদের। আগের সাত আসরের ছয়বার ফাইনালে উঠে পাঁচবার শিরোপা জেতা অস্ট্রেলিয়াকে এবার আটাকাতে পারেনি প্রথমবারর মতো ফাইনালে উঠা স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয়েছে ১৯ রানে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার করা ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান। এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়া টানা তিনবারসহ চ্যাম্পিয়ন হলো ছয়বার। ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার বেথ মনি।
একই গ্রুপ থেকে উঠে আসাতে গ্রুপ পর্বে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অস্ট্রেরিয়ার কাছে পাত্তাই পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। জিতেছিল ৬ উইকেটে। আগে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা করেছিল ৭ উইকেটে ১২৪ রান। জবাব দিতে নেমে অজিরা সেই রান তাড়া করেছিল ১৬.৩ ওভারে। আজ যখন অজিরা নিজেদের মূলধন ১৫৬ রান জমা করে তখনই তাদের শিরোপা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ এত রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সম্ভব হবে না।
জবাব দিতে নামার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং দেভে সে রকমই মনে হয়েছে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তারা মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ২২ রান সংগ্রহ করে। এখানেই তারা চাপে পড়ে যায়। এই চাপ তারা পরে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ১০ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে মাত্র ৫২।
অজি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রোটিয়ার কোনও ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি। ওপেনার লুউরা উলভার্ডট একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৮ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৬১ রান করেন। কিন্তু তার এই রান দলের হারের ব্যবধান কমিয়ে আনতে শুধুই ভূমিকা রাখে। হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৩ বলে। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হওয়ার সময় দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৬.৩ ওভারে ১০৯। ট্রায়ন ২৩ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে করেন ২৩ রান। এ ছাড়া মারজানি ক্যাপ ১১ ও তাজমিন ব্রিটস ১০ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার মেগান, গার্ডনার, ব্রাউন ও জনাসেন ১টি করে উইকেট নেন।
এমপি/এসআইএইচ