আলোর মুখ দেখার আগেই অন্ধকারে বাফুফের সুপার কাপ

আশা জাগিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। নিরাশ করলেন সংস্থার সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।
আশা-নিরাশার দোলাচলে আলোর মুখ দেখার আগেই ফের অন্ধকারে বাফুফের কোটি টাকার সুপার কাপ।
বিশেষ এই টুর্নামেন্ট আয়োজন বড় চমকই দেখিয়েছিল দেশের ফুটবল ফেডারেশন, যা এখন সোনালি অতীত। সেই ২০০৯ সালে জন্ম হয়েছিল কোটি টাকার সুপার কাপের। এরপর আরও দুবার আলোর মুখ দেখে টুর্নামেন্টটি : ২০১১ ও ২০১৩ সালে। এরপর থেকে মুখের কথায় কেবল বেঁচে আছে সুপার কাপ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সোহাগ বলেছিলেন, ফের শুরু হতে যাচ্ছে সুপার কাপ। মূলপর্ব শুরু হবে ২ এপ্রিল। চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। তার আগে ১৪ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে বাছাইপর্ব। কিন্তু তার আগেই আত্মসমর্পন বাফুফে। শনিবার মহি জানালেন, স্পন্সর মিলেনি তাই আপাতত হচ্ছে না সুপার কাপ!
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জরুরি সভায় বসেছিল বাফুফের প্রফেশনাল লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির আওতাধীন ওয়ার্কিং উপ-কমিটি। সভা শেষেই দুঃসংবাদ নিয়ে হাজির হন মহি, ‘আসলে আমরা আশাবাদী ছিলাম, যেহেতু স্পন্সরদের সঙ্গে একটা কথা চলছে, ভেবেছিলাম সিদ্ধান্ত চলে আসবে। কিন্তু আমরা স্পন্সর চূড়ান্ত করতে পারিনি।’
টাকার কাছে আরও একবার হারল সুপার কাপ-এটা মেনে নিয়েই বাফুফের সহ-সভাপতি বলেন, ‘এখানে প্রাইজমানি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পার্টিসিপেশন ফি’সহ অনেক বিষয় আছে, সবকিছু মিলিয়ে আমাদের একটা বাজেট ছিল।
আমরা চেষ্টা করেছিলাম, সেই বাজেটের সংস্থান যেন স্পন্সরদের কাছ থেকে হয়।’ মহি যোগ করেন, ‘সে বিষয়টি যেহেতু এখন পর্যন্ত আমরা চূড়ান্ত করতে পারিনি, সে কারণে আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুপার কাপ হবে না-এ কথা আমরা এখনো বলছি না। ফেডারেশন কাপ বা পেশাদার লিগের পরেও হতে পারে। আমরা একাধিক স্পন্সরের সঙ্গে কথা বলছি।’
এমএমএ/
