পেশাদার ক্রিকেটারদের ধানক্ষেতেও ভালো খেলতে হবে: মুমিনুল
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দল বাঘ। তবে সত্যিকারের বাঘ নয়। সুবিধাবাদী! এই বাঘ হয়ে উঠার নেপথ্যে আছে নিজেদের অবস্থার ফায়দা নেওয়া, স্পিনিং উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ‘বধ’ করা। তাও তা সব দলের বিপক্ষে নয়, উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। সবারই স্মৃতির পাতায় জ্বলজ্বল করছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্¦কাপের আগে ঘরের মাঠে প্রথমে অস্ট্রেলিয়া, পরে নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দিয়ে নাকানা-চুবানি খাইয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে কোন ফায়দা হয়নি। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই সাফল্যকে মোটেই কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। হেরেছে খুব বাজেভাবে। তাই এ জাতীয় ফর্মুলা থেকে বের হয়ে আসতে চান বাংলাদেশের টেস্ট দলপতি মুমিনুল হক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশের সবাই স্পিন ভালো খেলে। তাদের বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট না করাটাই ভালো। সব দল তা-ই করে। আমার কাছে মনে হয় ফ্ল্যাট উইকেটই ভালো। এটিই আমার পছন্দ।’
বাংলাদেশের এই ফর্মূলায় এক সময় ভারতও হাঁটতো। আবার বিদেশে গিয়ে পাত্তা পেতো না। এখন তারা সে পথ থেকে সরে এসেছে। ঘরের মাঠেও পেস বোলারদের সহায়ক উইকেট তৈরি করে ম্যাচ নিজেদের করে নিচ্ছে। বাংলাদেশ আবার স্পিনিং উইকেট ভারত, পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করতে পারে না। কারণ, তাদের স্পিন আক্রমণ বাংলাদেশের চেয়ে ঢের ভালো। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলে এর ফায়দা তারাই বেশি তুলে নেয়। আগামীকাল যেমন পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের উইকেট।
এ প্রসঙ্গে মুমিুনল বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে উইকেট বা এগুলো নিয়ে অজুহাত দেওয়াটা কখনওই কাম্য নয়। আমিও এর সঙ্গে একমত হই না। পেশাদার ক্রিকেটারদের যদি ধানক্ষেতেও দেন, ওখানেই ভালো খেলতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, অজুহাত না দিয়ে জেতার জন্য আরেকটু পেশাদার হলে আরও ভালো হয়।’
এমপি/এএন