জেতার জন্য সিলেটকে করতে হবে ১২৯ রান

চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচ মানেই রান ফোয়ারা। যে কারণে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন অধিনায়ক। পরে সেই সিদ্ধান্তের সফল বাস্তবায়ন তারা করেন বড় সংগ্রহ করে। প্রথম দুই দিনের পর চট্টগ্রামে তৃতীয় দিনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ঢাকা ডমিনটেরসের অধিনায়ক নাসির হোসেনও টস ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন বড় সংগ্রহের প্রত্যাশায় অপতিরোধ্য সিলেট স্ট্রাইকারসকে আটকানোর জন্য। কিন্তু নাসিরের এই প্রত্যাশায় পানি ঢেলে দিয়েছেন দুরন্ত দুর্বার মাশরাফির সিলেটের বোলাররা পুরো ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ১২৮ রান করেছে ঢাকা। এখন দেখার বিষয় এই রানের মধ্যে ঢাকার বোলাররা সিলেটের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখতে পারেন কি না?
চট্টগ্রামের উইকেটে স্পিন ধরাতে সিলেট আজ তাদের একাদশে একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে খেলতে নামে। ঢাকার চার ম্যাচে তারা চারজন পেসার ও একজন স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছিল।সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সেরা একাদশে ছিল দুইজন স্পিনার।
দারুণ ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়ের পরিবর্তে কোনো ব্যাটসম্যানের না নিয়ে তারা নাজমুল ইসলাম অপুকে দলে নিয়েছিল। আর পেস বোলিংয়ে এনেছিল একটি পরিবর্তন। ৬ উইকেট পেয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা রেজাউর রহমান রাজাকে সেরা একাদশের বাইরে রুবেল হেসেনের মতো অভিজ্ঞ পেসারকে সেরা একাদশে রেখেছিল। যে কারণে ৭ উইকেট পেয়ে সর্বোচ্চ তিন জনের একজন হয়ে থাকা মাশরাফি আজ মাত্র এক ওভার বোলিং করেন।
উইকেটে স্পিন যেমন ধরেছে, তেমনি পেসাররা ছিকেন নিয়ন্ত্রিত। যে কারণে ঢাকা অলআউট না হয়েও ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন নাসির। তিনি ৩১ বল খেলে একটি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি মেরে ছিলেন। এ ছাড়া, ওপেনার ওসমান গনি চার বাউন্ডারিতে ২৮ বলে ২৭ ও আরিফুল হক একটি করে চার-ছক্কা মেরে ১৬ বলে ২০ রান করেন।
সিলেটের হয় ইমাদ ওয়াসিম ২০ রানে নেন ৩ উইকেট নেন। এ ছাড়া, একটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আমির।
এমপি/এমএমএ/
